আন্তর্জাতিক

গ্রিসে ভয়াবহ দাবানল, আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে গ্রিস। রাজধানী এথেন্সের কাছে ভারনাভাস এলাকার ১০০ কিলোমিটার বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। ফলে সেখানকার ঘরবাড়ি ও গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। এমন পরিস্থিতিতে দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে দেশটি।

Advertisement

স্পেন, ইতালি, তুরস্ক ও কানাডার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছে গ্রিস সরকার। এরই মধ্যে একটি সুপার পুমা ইউটিলিটি হেলিকপ্টার পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সও। অন্যদিকে, ৭৫ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও ২৫টি যানবাহন পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র।

 

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঝড়ো বাতাসের কারণে দ্রুত গতিশীল দাবানলটি সোমবার (১২ আগস্ট) এথেন্সের প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের গাছ, বাড়ি, গাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এবং শহর ও গ্রামবাসীকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

শনিবার (১০ আগস্ট) থেকে গ্রিসে ৪০টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় আগুনের শিখা ৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থান করছে। ৭টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছে দমকল বাহিনী। কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬৭০ সদস্য। অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে ১২টি বিমান ও ৭টি হেলিকপ্টার।

Advertisement

এছাড়া ঐতিহাসিক ম্যারাথন শহরের স্থানীয়দেরকেও নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী ভ্যাসিলিস কিকিলিয়াস বলেন, বিপজ্জনক এই আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন।

এছাড়া স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও ছড়িয়েছে দাবানল। আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়া আগুন ঠেকাতে বিমান থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি।

গত মে মাস থেকে গ্রিস জুড়ে শতাধিক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রীষ্মকালীন দাবানল গ্রীসে সাধারণ বিষয় হলেও এবার জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে তীব্র গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়া দাবানলকে আরও বেশি ভয়াবহ করে তুলেছে। প্রচণ্ড গরমে উদ্ভূত দাবানল এই মাসে স্পেন এবং বলকান অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

Advertisement

এসএএইচ