শারীরিক সমস্যার মতো মানসিকভাবেও জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে ভেঙে পড়েন নারীরা। এতে বাড়ে ডিপ্রেশন। এটি এমন একটি মানসিক ব্যাধি যা মানুষকে আত্মহত্যার দিকেও প্ররোচিত করে!
Advertisement
বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে, মানসিক সমস্যার ঝুঁকি পুরুষের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
এই প্রসঙ্গে ভারতের কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সাইক্রিয়াট্রি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. শর্মিলা সরকার বলেন, নারীরা ওবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডারে (ওসিডি) বেশি ভোগেন।
ফলে অবসাদ থেকে শুরু করে দুশ্চিন্তা, মুড চেঞ্জ হওয়ার অনেকটাই বেশি দেখা যায়। তবে সিজোফ্রেনিয়া রোগটি কিন্তু নারী-পুরুষ, উভয়ের মধ্যেই দেখা দেয়।
Advertisement
১. নারীরা হলেন মাল্টি টাস্কার। একদিকে সংসার সামলানো থেকে শুরু করে অন্যদিকে অফিসও করতে হয় তাদের। যেখানেই থাকুক না একসঙ্গে অনেক বিষয় ঘুরছে মাথায়। এ বিষয়গুলোই অনেক সময় সমস্যা তৈরি করে।
আরও পড়ুন ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে খাবেন যে ৫ ফল শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি জানান দেয় যে ৫ লক্ষণ২. এছাড়া নারীদের শরীরে হরমোনের বিশেষ প্রভাব আছে। এই হরমোনজনিত কারণেও নারীদের ডিপ্রেশন দেখা দেয়।
৩. আবার পিরিয়ডসের আগে ও পরে নারীর শরীর ও মনে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়। সেই বিষয়টিও সমস্যা তৈরি করে।
৪. গর্ভকালীন সময়েও নারী শরীরে দেখা দেয় নানা পরিবর্তন। এ সময় শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন ঘটে যার থেকে সমস্যার তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বারবার মুড চেঞ্জ হয়।
Advertisement
আবার মাসিকচক্র বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ মেনোপজের পরও নারীর শরীরে হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। তখনো শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।
৫. এছাড়া নারীরা বেশিরভাগ সময়ই নিজেদের সমস্যা প্রকাশ করতে পারেন না। মুখ বুজে অনেক সময়ই তা জমিয়ে রাখেন। এর প্রভাব পড়ে মনের উপর। যা একসময় ডিপ্রেশনে রূপ নেয়।
নারীর মানসিক সমস্যার সমাধানের উপায় কী?এ বিষয়ে ডা. শর্মিলা জানান, এ সমস্যা দূর করতে নারীদের আরও বেশি স্বনির্ভর হতে হবে। ঘরবন্দি না থেকে পৃথিবীর স্বাদ নিতে হবে। নিজের মনের মতো করে জীবন উপভোগ করতে হবে। তবেই মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস