টাকা নয়, সোনা নয়, বরং ঘুস হিসেবে চেয়েছিলেন মাত্র পাঁচ কেজি আলু। ঘুস চাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন পুলিশকর্মী। এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজের সৌরিখ থানা।
Advertisement
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের কনৌজের ওই পুলিশকর্মীর কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতেই শোনা যাচ্ছে, স্পষ্টভাবেই ঘুস চাইছেন তিনি। অথচ মজার বিষয় হলো, টাকা পয়সা নয়, ঘুস হিসেবে চাওয়া হচ্ছে আলু। অডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরেই কনৌজ পুলিশের এসপি বরখাস্ত করেছেন ওই কর্মীকে।
অভিযুক্ত কনৌজের সৌরিখ থানার চাপুন্না-ভাওয়ালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টর। তারই কথোপকথনের রেকর্ডিং সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে শুরু হয় সমালোচনা। কারও গলায় সমালোচনার সুর, কেউ আবার মেতেছেন হাস্যকৌতুকে।
এক মিনিট চার সেকেন্ডের ওই রেকর্ডিংয়েই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ঘুস হিসেবে পাঁচ কেজি আলু চাইতে শোনা যাচ্ছে। ফোনের ওপারে যিনি রয়েছেন তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফোনে ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, তিনি দুই কেজি আলু দিলেও বাকি তিন কেজি এখনই দিতে পারছেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিন কেজি আলু দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন ওই পুলিশকর্মী। কিছুক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর শেষমেশ তিন কেজি আলুতে রফা হচ্ছে দু’জনের।
Advertisement
তবে আপাতদৃষ্টিতে মজার মনে হলেও দিনেদুপুরে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীর এভাবে ঘুস চাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সে রাজ্যের পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ‘আলু’ শব্দটিকে গোপন সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আপাতত তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম
Advertisement