ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে তারা পদত্যাগপত্রে সই করেন।
Advertisement
পদত্যাগ করা দুজন হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী এবং কলেজ শাখার অধ্যাপক ও গভর্নিং বডির (কলেজ) সদস্য ফারহানা খানম।
ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের পদত্যাগপত্রে সই করার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে অধ্যাপক ফারহানা খানম জাগো নিউজকে বলেন, আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিনি। তবে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Advertisement
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া ও হেনস্তা করার অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে আন্দোলনে নামেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
একই সঙ্গে আরও এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম দেন তারা। রোববার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসার মূল শাখার সামনে এ বিক্ষোভ করে তারা।
এসময় তাদের হাতে শিক্ষকের সংস্কার, ফারহানার বহিষ্কার, ফারহানা, আর না আর না, ভিকারুননিসায় দুর্নীতি, মানবো না মানবো না-লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ কেকা চৌধুরী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফারহানা খানমের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের হামলার সময় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দিতে সাহায্য করেননি। উল্টো তাদের টিসি দেওয়া এবং হেনস্তা করার হুমকি দেন। তাদের বিরুদ্ধে কলেজে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। এজন্য তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
Advertisement
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষক সৈয়দা তানজিনা ইমামও ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে ন্যাক্কারজনক ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবারও একই দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা। যতদিন তাদের দাবি মেনে অধ্যক্ষ ও অন্য এক শিক্ষককে বহিষ্কার না করা হবে ততদিন তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ক্লাস বর্জন করবেন বলেও জানান।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম