বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সরকারের পতন ঘিরে নানারকম গুজব ছড়ানো হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এবার বাদ পড়েনি গোপালগঞ্জ জেলাও। সেখানে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ছড়ানো হয়েছিল নানা গুজব। গত ১০ জুলাই রাতভর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট দেখা যায়।
Advertisement
মূলত দুপুরে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের হামলায় ৯ সেনাসদস্য আহত হন। সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়াসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। এরপর থেকেই গুজব ছড়াতে থাকে সেনাবাহিনী গোপালগঞ্জে অভিযান চালাবে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে জেলার মানুষ।
গুজবের জবাবে সাংবাদিক বায়েজীদ হোসাইন সাদ লিখেছেন, ‘আর জেগে লাভ নেই, ঘুমিয়ে পড়েন হুজুগে দেশবাসী। অতি উত্তেজনা কমান! যার বিয়ে তার খোঁজ নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নাই!’
মওদুদ আহমেদ লিখেছেন, ‘দয়াকরে গোপালগঞ্জ নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। গোপালগঞ্জে সবকিছুই নরমাল। সেনারা কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জ যাচ্ছে এতটুকুই।’
Advertisement
হেমায়েত হোসেন লিখেছেন, ‘লাইলাতুল গুজব রাত। গোপালগঞ্জের মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাইছে। ওই ধারে বাকি ৬৩ জেলার মানুষ গোপালগঞ্জের চিন্তায় ঘুমাইতে পারে নাই।’
আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন ‘হাজত থেকে বের হয়ে দেখি দেশ ‘স্বাধীন’ হয়ে গেছে’এএইচএম রাফসান উদ্দিন খন্দকার লিখেছেন, ‘ভাই, আপনাদের কি কোনো রাতেই এখন আর ঘুম আসে না? আজ আবার কোন এক এলাকা নিয়ে আছেন। আপডেট দিয়েন।’
আব্দুল মোতালেব তাহসিন লিখেছেন, ‘গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী ওখানে কারো ওপর হামলা কিংবা কাউকে মারপিট করছে না। গোপালগঞ্জবাসীর সঙ্গে সেনাবাহিনী আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর লাঠি দিয়ে মারার যে ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গেছে, তা সম্পূর্ণ গুজব অর্থাৎ আগের ভিডিও। যেখানে সেনাবাহিনী ডাকাত ধরে তাদের শাস্তি দিচ্ছে।’
Advertisement
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এভাবে গুজব ছড়িয়ে বহির্বিশ্বে আমাদের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিক ও মিডিয়াগুলো তো বসেই রয়েছে যে কোনো কিছুকেই সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার কিংবা হামলা বলে চালিয়ে দিতে। অলরেডি তারা টুইটারে এই ভিডিওগুলোকে সেনাবাহিনী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করছে বলে প্রচার করা শুরু করেছে।
তাই আমি অনুরোধ করবো লাঠি দিয়ে গোপালগঞ্জবাসীকে মারা হচ্ছে এমন কিছু লিখে ভিডিও না ছড়ানোর জন্য। কারণ এগুলো সম্পূর্ণরূপে গুজব ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য সম্মানহানিকর।’
এসইউ/এমএস