নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের কর্মকর্তারা শনিবারের মধ্যে পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে এ আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবির সমন্বয়করা।
Advertisement
এরআগে ভিসিসহ কর্মকর্তাদের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেও নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারসহ কেউ পদত্যাগ করেননি। তবে প্রক্টরসহ ৯ জন পদত্যাগ করেন।
এদিকে শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাতে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন।
এ সময় উপাচার্যের কক্ষের সামনে নামফলক থেকে নাম সরিয়ে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ স্বরূপ তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষের প্রধান গেটে তালা দেন।
Advertisement
এর আগে ৭ আগস্ট উপাচার্য প্রফেসর ড. দিদারুল আলম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং রেজিস্ট্রার জসীম উদ্দিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চেয়ে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
এরমধ্যে প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ পাঁচ আবাসিক হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করলেও পদত্যাগ করেননি প্রশাসনের শীর্ষ পদে থাকা চার ব্যক্তি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন বলেন, ‘আপনারা জানেন এই খুনি প্রশাসন নির্লজ্জের মতো আচরণ করছে। তাদের ছাত্র সমাজ ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়ার পরও তারা পদত্যাগ করেনি। আমরা বলতে ভিসি ও রেজিস্ট্রারসহ অন্যরা যদি পদত্যাগ না করে তাহলে আমরা তাদের অবাঞ্ছিত ও বহিষ্কার ঘোষণা করবো।’
নোবিপ্রবির আরেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মাহদী বলেন, ‘ভিসি ও রেজিস্ট্রারসহ অন্যরা যারা এই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন তারা নিজেদের রক্ষা করতে অনলাইন ক্লাসের মতো এ হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আমরা এই হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/জেডএইচ/এএসএম