জাতীয়

বিচার বিভাগের সংস্কারে যা যা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো

বিচার বিভাগের সংস্কারে যা যা করার তা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

Advertisement

শনিবার (১০ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিসে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগে দুঃশাসনের নজির স্থাপন করা হয়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসিফ নজরুল বলেন, আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে আইনগত সংস্কার করে উপযুক্ত জায়গায় উপযুক্ত ব্যক্তিকে পদায়ন করে আমার মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন ব্যাপারে যা যা করার আছে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, ‘আমি এই পজিশনে এসেছি। আমি মনে করি এটা ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব। কীভাবে মিসক্যারেজ অব জাস্টিস হয়েছে, কীভাবে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমি জানি, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।’

Advertisement

উচ্চ আদালতে বিচার-কাজ বন্ধ আছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি অফিসে এসেছি সবার সঙ্গে আলাপ করবো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চেষ্টা করবো।’

সাইবার নিরাপত্তা আইন থাকবে কি না জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, যেকোনো ধরনের খারাপ আইন কোনটা সংস্কার করা প্রয়োজন, কোনটা বাতিল করা প্রয়োজন, সেটা আমরা চিন্তা করে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবো। আমি সাইবার সিকিউরিটি আইনের আসামি ছিলাম, তাই বুঝতেই পারছেন সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ভালবাসার কোনো কারণ নেই।

আরও পড়ুন:

পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, রয়টার্সকে নাহিদ এটা আবু সাঈদের বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

ছাত্রদের হত্যার বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেটাই থাকবে নাকি আপনার নতুন করে করবেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের কথা বলা হয়েছিল। আমরা এখানে এসেছি, ছাত্র-জনতা আমাদের জন্য একটি অপূর্ব সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে দেশ গড়ার। সেই দায়িত্ব নিয়ে সেই প্রত্যাশাকে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। কাজেই সেটার দিকে আমাদের মনোযোগ থাকবে। বিচার বিভাগীয় যে তদন্ত কমিটি সেটার বিষয়ে এখন আমি মন্তব্য করছি না।

Advertisement

এর আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে সচিবালয়ে আসেন আইন উপদেষ্টা। তিনি আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপরই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা।

এরপর বৃহস্পতিবার শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা। যদিও তিনজন উপদেষ্টা এখনো শপথ নেননি। শুক্রবার শপথ নেওয়া প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল পান আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

আরএমএম/এসএনআর/এএসএম