টেস্টোস্টেরন হরমোন লেভেল এবং ডিএনএ টেস্টে ব্যর্থতার কারণে গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বহিষ্কার করা হয়েছিলেন ইমানে খেলিফ। আলজেরিয়ার বিতর্কিত এই তারকাই এবারের অলিম্পিকে নারী বক্সিংয়ে সোনা জিতেছেন। চীনের ইয়াং লিওকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের সোনা জিতে ক্রীড়াজগতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
গেল ১ আগস্ট নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন খেলিফে। আলজেরিয়ার এই বক্সারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই কাঁদতে কাঁদতে ম্যাচ ছেড়েছেন ইতালির অ্যাঞ্জেলা কারিনি। প্যারিস অলিম্পিকের এই ম্যাচ ঘিরে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, খেলিফে আসলেই নারী কিনা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলিফের লিঙ্গ নিয়ে নানা মন্তব্য করেন।
বক্সিয়ের শিরোপা জিতে সেসব মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন খেলিফে। সংবাদ সম্মেলনের এসে তিনি বলেন, ‘আমি নারীদের মতোই একজন নারী। আমি একজন নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমি একজন নারী হিসেবে বেঁচে আছি। কিন্তু আমার সাফল্যের পেছনে শত্রু আছে। তারা আমার সাফল্য হজম করতে পারে না।’
সোনা জিতে বিসিসিকে খেলিকে বলেন, ‘এটি আমার স্বপ্ন। আমি খুব খুশি। এটি দুর্দান্ত, চমৎকার। ১০ বছর কাজের কারণে আমি ঘুমাতে পারিনি। আমি আলজেরিয়ার সকল মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পারফরম্যান্স নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি একজন শক্তিশালী নারী।’
Advertisement
গতকাল সোনা নিশ্চিত হওয়ার পর রিংয়ের বাইরে থাকা আলজেরিয়ার নাগরিকরা খেলিফের নাম ধরে চিৎকার করতে থাকে। এসময় আনন্দে জাতীয় পতাকা উড়াতে থাকে। আলজেরিয়ার জাতীয় সংগীত চলাকালে খেলিফের চোখে পানি দেখা যায়।
এমএইচ/এমএস