শেখ হাসিনার পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই দিনে আরও ১৩ জন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। বঙ্গভবনে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণের পর থেকেই দেশজুড়ে যেন স্বস্তি ফিরে এসেছে।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিজয়ের পর থেকেই নেটিজেনরা সরব রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শপথ গ্রহণের পর যেন আরও উচ্ছ্বসিত তারা। নেটজুড়ে অভিনন্দন ও শুভ কামনার জোয়ার বইছে। সেই সঙ্গে নিজের প্রত্যাশার কথাও জানাচ্ছেন তারা।
কবি রিক্তা রিচি লিখেছেন, ‘দুজন শিক্ষার্থীকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। মানুষ বয়সে নয়; তার দায়িত্ব পালন, কর্ম সম্পাদন, পরিপক্বতায় বড় হয়। বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। আশা করি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ নিজ নিজ অবস্থানে দৃঢ় থাকবেন। একইসঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা দল দ্বারা বায়াসড হবেন না।’
কথাশিল্পী তানজিম তানিম লিখেছেন, ‘শান্তিতে নোবেলবিজয়ী একজন অর্থনীতির অধ্যাপক সরকারপ্রধান। এটা যে কোনো জাতির জন্যই একটা স্বপ্ন। কিন্তু এটা অন্তর্বর্তীকালীন।’
Advertisement
শিক্ষার্থী গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত লিখেছেন, ‘ফাইনালি, মুহাম্মদ ইউনূস স্যার। এবার বিজয়ের আনন্দ লাগছে বাংলাদেশে।’
আরও পড়ুন আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন, প্রতিবাদ জানাই: আয়মান সাদিক ‘হাজত থেকে বের হয়ে দেখি দেশ ‘স্বাধীন’ হয়ে গেছে’প্রকাশক কাদের বাবু লিখেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেভাবে শান্তির বাণী শোনালেন, আশা করছি দেশের ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।’
লেখক ও শিক্ষার্থী সামিন ইয়াসার রাইয়ান লিখেছেন, ‘অভিনন্দন ড. ইউনূস! দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো স্ক্রিপ্ট ছাড়া যে বক্তব্য আপনি দিলেন, এ-রকম সাবলীল বক্তব্য আমার জন্মের পর বাংলাদেশে শেষ কবে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকে দিতে দেখেছি মনে পড়ে না। ৮৪ বছর বয়সে আপনার এই তারুণ্য আমাদের প্রেরণা। এই দেশকে আপনি সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। আমরা আমাদের জায়গা থেকে আপনার সাথে আছি।’
দন্ত্যচিকিৎসক মেহেদী হাসান সজীব লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো নিজের দেশের শপথ গ্রহণ এত মনোযোগ ও আনন্দের সাথে দেখলাম!’
Advertisement
অধ্যাপক কাজী এইচ রবিন লিখেছেন, ‘এদেশের আপামর জনসাধারণের স্বপ্ন বৈষম্য বিহীন সুন্দর এক বাংলাদেশ। যেখানে মানবাধিকার সমুন্নত থাকবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আপনার যোগ্য নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আশা রাখছি।’
এসইউ/জিকেএস