বাংলাদেশে বর্ষাকালেই সবচেয়ে বেশি ফুল ফোটে। যদিও আমরা অনেকে ফুল চিনি না। না চিনলেও সমস্যা নেই। ফুলের সৌন্দর্য দেখে চমকিত হতে দোষ কী? বর্ষা এলেই চোখে পড়ে ফুলের সমারোহ। এত ফুলের মাঝে কয়টি ফুলকেই চেনা যায়?
Advertisement
বর্ষাকালের আগমনী গান বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শাখায় শাখায় ফোটে কদমফুল। পানিতে টইটুম্বুর খাল-বিলে বেশি ফোটে শাপলা ফুল। এর মধ্যে সাদা, গাঢ় লাল, নীল ও গোলাপি রঙের শাপলা বেশি ফোটে। তাছাড়া শালুক-পদ্মও চোখে পড়ে। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দেয় বেগুনি রঙের কলমি ফুল। এ সময়ের নান্দনিক আরেকটি সৌন্দর্য কচুরিপানা ফুল।
ছাদে কিংবা বাগানে লাল রঙের রেড লিলিও আগমনী বার্তা জানায়। কেয়া ও বকুলের ছড়াছড়ি চারদিকে। এছাড়া স্পাইডার লিলি, দোলনচাঁপা, সুখদর্শন, ঘাসফুল, সন্ধ্যামালতি, গুলনার্গিস, সোনাপাতি ও অলকানন্দ প্রভৃতি দেখা যায়। রজনীগন্ধা, জুঁইয়ের সঙ্গে আগের মৌসুমে ফোটা গন্ধরাজ, রঙ্গন, রক্তজবা, টগর, শ্বেতকাঞ্চন বা ঘণ্টাফুল আনন্দ দেয়।
আরও পড়ুন টবে কাঠগোলাপ চাষের নিয়ম গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় এখনইবর্ষাকালের আরেকটি ফুল ফুরুস। যার ইংরেজি নাম ক্র্যাব ফ্লাওয়ার। বর্ষার আকর্ষণীয় আরেকটি ফুল দোপাটি। এ দেশে গোলাপি, লাল, বেগুনি, আকাশি, নীল ও সাদাসহ কয়েক রঙের দোপাটি আছে। চোখে পড়বে সাদা রঙের অজস্র চাঁদমালা ফুল। প্রজাপতির ডানার মতো উড়বে ‘বাটারফ্লাই লিলি’। এ ফুলকে গুলবাকাওলিও বলা হয়।
Advertisement
রঙিন সব ফুলের ভিড়ে দেখা মিলবে সুখদর্শন বা টাইগার লিলি, রেইন লিলি, বহুরঙা গ্লোরি লিলি, মর্নিং গ্লোরি ফুল, নানা রঙের পর্তুলিকা, ঘাসফুল, নয়নতারা, মোরগঝুঁটি, ব্লিডিং হার্ট, রুয়েলিয়া, ম্যান্ডেভিলা, বেগম বাহার, হাজারি বেলি, করবী, কলাবতী ও অলকানন্দা।
বর্ষায় সাদা ফুলের আলাদা গুরুত্ব আছে। এ সময় যত ফুল ফোটে, তার মধ্যে সাদা ফুলের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে দেখা পাওয়া যায় বেলি, দোলনচাঁপা, কামিনী, সাদা কাঠগোলাপ, মালতি, সুগন্ধি বা অ্যারোমেটিক জুঁই, ক্লিমেটিস জুঁই, জুঁই বা যূথী, বকুল, গন্ধরাজ, শ্বেতচাঁপা, শ্বেতরঙ্গন, সুদর্শন বা স্পাইডার লিলি, রজনিগন্ধা ও মেহেদি ফুল। গন্ধহীন কাঠ টগর, টগর, চীনা টগর, কুন্দ, শ্বেতকাঞ্চনও বর্ষার শ্বেতবসনা।
এসইউ/জিকেএস
Advertisement