অতিউৎসাহী, অপেশাদার এবং পক্ষপাতদুষ্ট কিছু পুলিশ সদস্য সরকারের পক্ষ নিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতাকে হত্যাসহ অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে। ভাবিষ্যতে পুলিশ বাহিনীকে একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে যাতে না হয় এজন্য পুলিশ বাহিনীতে আমূল সংস্কারের প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজারবাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে তদান্তিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ইউএনডিপির সহয়তায় পুলিশ রিফরম প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় নিয়ে বিভিন্ন উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের পুলিশি ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দি বাংলাদেশ পুলিশ অর্ডিন্যান্স ২০০৭ এর খসড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়নি। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ জারি করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আমাদের সমিতি তাদের পক্ষপাতমূলক অপেশাদারী ও জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছে এবং তাদের আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছে। একই সঙ্গে নিরপরাধ পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ঐতিহ্যবাহী পুলিশ বাহিনীকে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে নিরাপদে এবং নবউদ্যোমে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায়।
Advertisement
এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী আরও বলেন, বিগত সরকারের একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তের কারণে ২০২০ সালের জানুয়ারির আগে যারা অবসরে গেছেন তারা রেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বঞ্চিত সব অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা রেশন সুবিধার দাবি করছি।
অধস্তন সকল পুলিশ সদস্যকে আইজিপির নির্দেশে যথা শিগগির নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানপূর্বক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কাজে নিজেদের নিয়োজিত করার জন্য আহ্বান জানায়। তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।
টিটি/এমআইএইচএস
Advertisement