তারা কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দালনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ ও দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছেন। দেশের ইতিহাসে এক সফল আন্দোলনের স্বার্থক রূপকার বর্তমান প্রজন্মের সংগ্রামী ছাত্র-ছাত্রীরা। শুধু স্বৈরাচারের পতন ঘটানোই নয়, দেশকে নতুন বার্তাও দিচ্ছেন আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা।
Advertisement
এ মুহুর্তে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন কাজটি করে যাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই কাকডাকা ভোরে বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে যাচ্ছেন তারা।
যানজট আর জ্যামের শহর ঢাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহজ কাজ নয়; কিন্তু সবাই মানছেন ছাত্র-ছাত্রীরা দক্ষতা ও সফলতার সাথেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। ঢাকায় গত ২-৩ দিন কোথাও কোন ধরনের যানজটের দেখা মেলেনি। ছাত্ররা আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে রাস্তা-ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছেন। কোন গাড়ী কোন লেন দিয়ে যাবে, কোথায় পার্ক করা যাবে, কোথায় পার্ক করা যাবে না, হাতের ইশারায় ও মুখে বলে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
ঢাকাবাসীর বড় অংশ ছাত্রদের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ দেখে মুগ্ধ। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও দারুণ খুশি। আগামীকাল শুক্রবার পাকিস্তান যাওয়ার আগে আজ বৃহস্পতিবার প্রেস মিটে ছাত্রদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বিজয়ের মুখে।
Advertisement
তার কথা, ‘মাঝে ক’দিন বাসা থেকে বের না হলেও এখন আমরাও বের হচ্ছি, কিছু কিছু কাজের জন্য। সাথে আমাদের স্টেডিয়ামেও আসা পড়ছে। আমরা আবার প্র্যাকটিস শেষ করে বাড়ি ফিরেও যাচ্ছি। তখনও দেখছি যে ছাত্র ছাত্রী ভাই-বোনরা অসাধারণ কাজ করছে। তারা চেষ্টা করছে, ট্রাফিকটা যত সুন্দর করে মেইনটেইন করা যায়। সব গাড়ি যাতে লাইন মোতাবেক থাকে এবং সবাই যেন ডিসিপ্লিন ওয়েতে চলে।’ বিজয়ের শেষ কথা, ‘আসলে এ রকম দেশটাই তো আমরা আশা করি। সব কিছুতে ডিসিপ্লিন থাকবে, সাধারণ জনগণ আসলে সেটাই চায়।’
এআরবি/আইএইচএস/