সরকার পরিবর্তনে বিসিবিতে কি হবে? পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগবে কি না? নাজমুল হাসান পাপন কী বিসিবি প্রধান থাকতে পারবেন? বোর্ড পরিচালক পর্ষদ কি থাকবে, না ভেঙ্গে যাবে? ঘুরে ফিরে এ প্রশ্ন অনেকের মুখেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
Advertisement
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে বিসিবিতে পরিবর্তন ও রদবদলের আভাস। প্রায় প্রতিদিনই পুরনো মুখের নতুন করে দেখা মিলছে। আওয়ামী লিগ আমলে গত এক যুগের বেশি সময় অবহেলিত, অবমূল্যায়িত বেশ ক’জন ক্রিকেট সংগঠক গত ৭২ ঘণ্টা বোর্ডে এসেছেন।
তারা কেউ যে মিছিল-মিটিং করে নাজমুল হাসান পাপন ও বোর্ড পরিচালকদের অপসারণ চেয়েছেন, তা নয়। তবে নাজমুল হাসান পাপন ও বোর্ড পরিচালক পর্ষদের কার্যক্রমের সমালোচনা প্রায় সবার মুখে। বোর্ড ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, অপেশাদারিত্ব, অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে রাজ্যের কথাবার্তা ক্রিকেট পাড়ায়।
তারপরও কঠিন সত্য হলো, নাজমুল হাসান পাপন ও বোর্ড পরিচালকরা নিজ থেকে পদত্যাগ না করলে আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবরের আগে বিসিবির বর্তমান পরিচালক পরিষদ ভাঙ্গা কঠিন।
Advertisement
আইসিসির নিয়ম বা রীতি হলো, কোন নির্বাচিত কমিটি হুট করে ভাঙ্গা যাবে না। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল তথা সরকারের পতন ঘটার পর অন্তর্বর্তীকালীন কিংবা নতুন সরকার দায়িত্ব নিলেও আগের কমিটিকে পূর্ণ মেয়াদে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এখন কমিটির প্রধান ও সদস্যরা নিজেরা সরে দাঁড়ালে ভিন্ন কথা। না হয়, ওই কমিটিকে পূর্ণ মেয়াদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সে আলোকে বলা যায়, আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিসিবির বর্তমান পরিচালক পর্ষদের মেয়াদ আছে।
এদিকে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের নতুন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় মনে করেন, ‘হঠাৎ করে বোর্ডে পরিবর্তন নয়, তৃণমূল থেকে পরিবর্তন হওয়া অধিক জরুরি। পাকিস্তান সফরে ‘এ’ দলের ৪ দিনের সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন এনামুল হক বিজয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বিজয় বলেন, হঠাৎ করে বোর্ডে বড় ধরনের পরিবর্তনের চেয়ে তৃনমূলে পরিবর্তন হওয়া জরুরি।’ তাই বলে বিজয় যে পরিবর্তনের বিপক্ষে তাও নয়। তার ব্যাখ্যা, ‘পরিবর্তন আনার জন্য একটা বড় আলোচনা দরকার। বিজয় মনে করেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডে রদবদল ঘটানো তথা পরিবর্তন আনার আগে সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে কথাবার্তা হওয়া খুব দরকার।’
তাই তার মুখে এমন কথা, ‘দু-একজনের কথায় আমিও পরিবর্তন চাই না। আমার কাছে মনে হয় যে, এটা একটা বড় আলোচনা হওয়া জরুরি। আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে বলেন, বড় ধরনের গ্রুপ নিয়ে যেহেতু আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি বা সবাই ক্রিকেট খেলছি বা কেউ খেলেছে বা খেলবে। আমার মনে হয়, একটা বড় ধরনের আলোচনা দরকার- যেখানে যে আছে (সবাইকে নিয়ে)। আসলে আমি জানব না, সেকেন্ড ডিভিশনে কি হচ্ছে। আমি প্রিমিয়ার লিগটা জানি- আমি কিন্তু ফুটবলের ব্যাপারটা জানি না, অনূর্ধ্ব-১৩ তে কি হচ্ছে এটা আমি জানি না। ছোট থেকে বড়, সবার একটা দারুন আলোচনা সম্ভব। যেখানে আমরা তুলে ধরতে পারব যে- আমাদের এটা এটা প্রয়োজন। এটা এখন এমন একটা যে এখনই বলে ফেললাম- কতটা আসবে সেটা জানি না।’
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস/