বাগেরহাটের মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা এলাকার পাইশ্যাখালী গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা কাঁকন। তার প্রায় ৬৫ বিঘার একটি চিংড়ি ঘেরে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাঙচুর ও তাকে মারধর করা হয়েছে। ওই ঘের ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাকে। এ অবস্থায় পুলিশ মাঠে না থাকায় প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি।
Advertisement
বুধবার (৭ আগস্ট) দিনগত গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোটা নিয়ে ওই ঘেরে হামলা চালায়।
ভুক্তভোগী গোলাম মাওলা কাঁকন জানান, পাহারাদারদের মারধর করে ঘেরে থাকা নগদ কিছু টাকা, বিভিন্ন মালামাল, ঘের থেকে ধরা কয়েক কেজি গলদা ও অন্যান্য মাছ লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। চলে যাওয়ার সময় ঘেরের কর্মচারীদের হুমকি দেন।
কাঁকন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে বৈধভাবে ওই ঘেরে চিংড়ি ও সাদা মাছের চাষ করে আসছি। ঘেরটিতে চলতি বছরও কয়েক লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রামপালের পেড়িখালীর এক বিএনপি নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের ঘেরটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে। ওই নেতা এখন তার ঘেরটি জবর দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।’
Advertisement
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের দখল ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ বেআইনি কর্মকাণ্ড করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবু হোসাইন সুমন/এসআর/জেআইএম