বর্ষাকাল অনেকেরই প্রিয় মৌসুম। তবে এ সময় রোগজীবাণু আক্রমণ বেড়ে যায়। মানুষের পাশাপাশি ঘরের পোষ্যের স্বাস্থ্যেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় শুধু আপনারই নয়, বরং ঘরের পোষ্য বিড়ালটিরও ঠান্ডা লাগতে পারে।
Advertisement
আবার বর্ষায় নোংরা পানি থেকে হতে পারে পোষ্যের চামড়ার সমস্যাও। তাই বর্ষায় বিড়ালকে সুস্থ রাখতে বেশ কয়েকটি টিপস অনুসরণ করা উচিত সবারই।
বিড়ালকে শুকনো স্থানে রাখুনবিড়ালকে শুকনো স্থানে রাখুন, যাতে বৃষ্টির পানি গায়ে না পড়ে। এতে করে পোষ্যের ত্বকের সমস্যা হতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ভিজে গেলে ওদের শুকনো তোয়ালে দিয়ে গা মুছিয়ে দিন। বিড়াল যে স্থানে ঘুমায় সেখানে যেন বৃষ্টির পানি না পড়ে, সেদিকে সতর্ক থাকুন।
স্যাঁতসেতে জায়গায় যেতে দেবেন নাস্যাঁতসেতে জায়গায় যেতে দেবেন না প্রিয় পোষ্যকে। ভেজা স্যাঁতসেতে জায়গা হলো ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুদের আঁতুড়ঘর। তাই খেয়ার রাখুন আপনার প্রিয় পোষ্য যাতে এ ধরনের স্থানে না যায়। পোষ্যকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হলো সঙ্গে রাখুন ছাতা।
Advertisement
বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি পোষ্যদের স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন। পোষ্যের গায়ের লোমে ধুলা-ময়লা আটকে থাকতে পারে। তাই পরিষ্কার রাখুন।
ত্বকে ফুসকুড়ি হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিনটিকস এবং ফ্লিজ নামে দু’ ধরনের ক্ষতিকারক পরজীবী বাসা বাঁধতে পারে এ সময়। ফলে বিড়ালের ত্বকে র্যাশও হতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে পশু চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন।
ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে দূরে রাখুনবর্ষায় বাড়ে কীটপতঙ্গের উত্পাত। তাই কীটনাশকের ব্যবহার আরও বেড়ে যায়। পোষ্যকে সেসব ক্ষতিকারক স্থান থেকে দূরে রাখুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ারবর্ষায় বিড়ালকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো জরুরি। এতে করে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমবে।
Advertisement
বর্ষাকালে পানি দূষণের মাত্রা বাড়ে। ফলে পানিবাহিত রোগগুলোর প্রবণতাও বেড়ে যায়। পানিবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লেপ্টোস্পাইরোসিস। তাই পোষ্যের পানির জায়গাটি পরিষ্কার রাখুন।
আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবসআজ ৮ আগস্ট ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাট ডে’ বা ‘আন্তর্জাতিক বিড়াল দিবস’। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় সর্বপ্রথম বিড়ালকে পোষ্য মানার রেকর্ড পাওয়া যায়। মিশরীয়রা বিড়ালকে দেব-দেবী ভেবে পূজাও করতেন।
পরবর্তী সময়ে মিশরীয় রাজবংশের পতনের পর, বিড়াল সর্বত্র জনপ্রিয় হয়ে ওঠে! গ্রীক ও রোমানরা বিড়াল পুষতে শুরু করেন শুধু কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে। অন্যদিকে প্রাচ্যে ধনীদের ঘরেই শুধু বিড়াল পোষা হত।
তবে মধ্যযুগে ইউরোপে, বিড়াল কুসংস্কারের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৩৪৮ সালের ব্ল্যাক ডেথের সময় এই রোগের বাহক হিসেবে বিড়ালকে দোষারোপ করা হয়। এ কারণে সেই যুগে অনেক বিড়াল মারা গিয়েছিল। ফলে ১৬০০ সাল পর্যন্ত সেখানে কোনো বিড়াল ছিল না।
এরপর থেকে পোষ্য হিসেবে নানা জাতের বিড়ালের খ্যাতি বাড়তে থাকে। ২০০২ সাল থেকে, ‘প্রাণী কল্যাণের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল’ বিড়ালদের জন্য একটি ছুটির দিনও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
জেএমএস/জেআইএম