দুর্বৃত্তদের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানা। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, যানবাহন। থানার পাহারায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যাত্রাবাড়ী থানা ঘুরে দেখা গেছে, থানার বাইরেও পড়ে আছে পোড়া যানবাহন। থানার গেটের সামনে বেরিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, সঙ্গে আনসার সদস্যরাও।
যাত্রাবাড়ী থানার ভেতরের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে। জানালার গ্লাস সব ভেঙে চুরমার। এসব চিত্র দেখতে সেখানে আজও ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে আগুন দেওয়ার পর থানার ভেতরে ঢুকে যে যা পেরেছেন নিয়ে গেছেন। অনেকে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলো থেকে যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে গেছেন। তাই থানায় প্রবেশে কড়াকড়ি করেছে শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
আরও পড়ুন
যাত্রাবাড়ী থানা পুড়ে ছাই, যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে শান্ত থাকার আহ্বান আমেরিকার, সেনাবাহিনীকে স্যালুট তৃতীয় দিনের মতো রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরাথানার সামনে দায়িত্বরত আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান অর্ণব জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাফিকসহ সবকিছু মিলে প্রতিদিন প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী দায়িত্ব পালন করছে। আমরা সকাল-বিকেল রাত কয়েক শিফ্ট ভাগ করে কাজ করছি। শুধু থানা নয় রাস্তার ট্রাফিকসহ শৃঙ্খলার কাজও আমরা করছি। কোনো প্রয়োজন হলে আমরা সেনাবাহিনীর ভাইদেরও সহযোগিতা নিচ্ছি।
অর্ণব জানান, থানা পুড়ে যাওয়ার পর অনেকে বিভিন্ন জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছিল, সেটি যেন করতে না পারে সেজন্য আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি। কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। আনসার ভাইরাও এখন আমাদের সঙ্গে আছেন।
থানার সামনে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিমের সঙ্গে। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ী থানার ওপর স্থানীয়দের অনেক ক্ষোভ ছিল। অনেক মানুষ নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রদের ওপর সবচেয়ে বেশি গুলি ছুড়ে হত্যা করেছে তারা। সেজন্যই তাদের ওপর আক্রোশ থেকে এভাবে থানা পুড়িয়েছে মানুষ।
Advertisement
আইএইচআর/এমআরএম/এএসএম