আন্তর্জাতিক

হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরায়েলকে ‘সম্পূর্ণ দায়ী’ করেছে ওআইসি

গত সপ্তাহে ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তাকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে সংস্থাটি।

Advertisement

গত ৩১ জুলাই রাজধানী তেহরানে নিজ বাসভবনে এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। একই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও নিহত হন।

এখন পর্যন্ত ওই হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই হামলার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

ওআইসির সদস্য দেশ ৫৭টি। স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) সৌদি আরবে সংস্থাটির একটি অসাধারণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জঘন্য হামলার জন্য অবৈধ দখলদার ইসরায়েল সম্পূর্ণরূপে দায়ী। তারা এভাবে হামলা চালিয়ে হানিয়াকে হত্যা করে ইরানের সার্বভৌমত্বের ‌‘গুরুতর লঙ্ঘন’ করেছে।

Advertisement

বর্তমানে ওআইসির নেতৃত্ব দিচ্ছে গাম্বিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু টাঙ্গারা বলেছেন, হানিয়ার ‘জঘন্য’ হত্যাকাণ্ড এবং গাজায় চলমান যুদ্ধ একটি আঞ্চলিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মাটিতে একজন রাজনৈতিক নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং এটা ওই অঞ্চলকে বিস্তৃত সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

সৌদি উপকূলীয় শহর জেদ্দায় ওআইসির বৈঠকের আহ্বান জানায় ইরান এবং ফিলিস্তিন। এই সংস্থাটি নিজেকে মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।

আরও পড়ুন: হানিয়াকে হত্যা করতে ইরানি এজেন্ট ভাড়া করেছিল মোসাদ: প্রতিবেদন কাতারে চিরনিদ্রায় শায়িত ইসমাইল হানিয়া

ওই বৈঠকের আয়োজক দেশ সৌদি আরব আরও বলেছে যে, হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ইরানের সার্বভৌমত্বের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ করা হয়েছে।

Advertisement

সৌদির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-খেরেজি বলেছেন, তার দেশ ‘যে কোনো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বা যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে।

টিটিএন