প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের ৫০ বিচারপতির পদত্যাগ চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহাবুব।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী মুহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, গোলাম রহমান ভুইয়া, সাবেক সহ-সভাপতি আইনজীবী গোলাম রহমান, অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ৫০ বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করাসহ ‘দলবাজ’ বিচারপতি উল্লেখ করে এসব বিচারপতিদের বাতিল করে নতুন করে বিচারপতিদের নিয়োগ দিয়ে বিচার বিভাগের মর্যাদা ফেরাতে দাবি তুলেছেন তারা।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শুরুতে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহতদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যত্থানের পর বাংলাদেশের আপামর জনগণ সে সময়ের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে গ্রহণ করেছিল এবং তার ওপর জনগণ আস্থা রেখেছিল। কিন্তু গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাস ভবন, বিচারপতি ভবন জনরোষানলের শিকার হয়। এছাড়া গত ১৫ দিন ধরে ছাত্র জনতার আন্দোলনে সারা দেশের আদালত ভবন জনগণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের আপামর জনগণ এই আওয়ামী লীগের বিচার বিভাগের কাছ থেকে কোনো বিচার পাননি। বরং খুনি, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা সরকারের সব অন্যায় পাপের সহযোগী হয়েছে প্রধান বিচারপতিদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ।
আরও পড়ুন
Advertisement
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম. খায়রুল হক, মো. মোজাম্মেল হোসেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, য়ৈসদ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীরা ছিলেন গত ১৫ বছরের দলবাজ বিচারপতি। আইনজীবী সমাজ এই সমস্ত সংবিধান লঙ্ঘনকারী প্রধান বিচারপতিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আদালতে বিচার করতে হবে।
এ সময় ‘রাজপথে আন্দোলন করে কি কোর্টের রায় পরিবর্তন করা যায়।’ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের এ উক্তির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
রিট শুনানিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ সংবিধান লংঘন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় তিনি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের ৫০ বিচারপতির পদ দাবি করেন। পাশাপাশি সৎ, দক্ষ, নিরপেক্ষ যোগ্য ব্যক্তিদের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন।
এফএইচ/বিএ/এএসএম/এমআরএম