দেশজুড়ে

মানিকগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদানে বাধা

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছিঁড়ে ফেলা  হয়েছে কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। মনোনয়নপত্র জমা ও উত্তোলনে বাধা দেয়া হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও। দলীয় প্রার্থীদের মনোয়নপত্র উত্তোলন ও জমাদানে বাধা দেয়ার বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিতভাবে জানিয়েছে জেলা বিএনপি।জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবীর স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসী ও মাস্তান প্রকৃতির কিছু লোক মানিকগঞ্জ সদর ও জেলা নির্বাচন অফিসের আশে-পাশের সকল পথে তল্লাশি পাহারা বসিয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমাদানে বাঁধা দিচ্ছেন তারা। সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতি, আটিগ্রাম ইউনিয়নের টিটু, পুটাইল ইউনিয়নের আদম আলীর মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অদূরে একটি অফিসে বেশ কয়েজন প্রার্থীকে আটকে রেখে মারধর করে নির্বাচন করবেন না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী জানান, তার এক আত্মীয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। কতিপয় সন্ত্রাসী তাকে তুলে নিয়ে ক্রীড়া সংস্থায় আটকে রাখেন। বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা প্রথমে কোনো গুরুত্ব দেননি। পরে পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যায় আত্মীয়কে উদ্ধার করা হয়।জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, সদর উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্যই অন্য কাউকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের নাম ভাঙিয়ে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের কতিপয় নেতা-কর্মী এ কাজ করছেন।এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসাইন জাগো নিউজকে জানান, জমাদানে বাধা দেয়ার বিষয়টি জানার পর তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে জরুরি বৈঠক হয়েছে। প্রার্থীরা যাতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা করা হবে। সদর ও জেলা নির্বাচন কার্যালয় ছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতেন পারবেন প্রার্থীরা।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ইউনিয়নে বিএনপির একজন প্রার্থীও মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি। পঞ্চম দফা নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ আগামী ২৮ মে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ ২ মে থাকলেও নির্বাচন কমিশন এক দিন সময় বাড়িয়ে ৩ মে করেছেন।বি.এম খোরশেদ/এসএস/পিআর

Advertisement