বাবা মায়ের প্রতি সদাচার, তাদের সেবা করা, তাদের কষ্ট না দেওয়া প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য। এ ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বাবা-মায়ের প্রতি ইহসান করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,
Advertisement
وَ قَضٰی رَبُّكَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ وَ بِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا اِمَّا یَبۡلُغَنَّ عِنۡدَكَ الۡكِبَرَ اَحَدُهُمَاۤ اَوۡ كِلٰهُمَا فَلَا تَقُلۡ لَّهُمَاۤ اُفٍّ وَّ لَا تَنۡهَرۡهُمَا وَ قُلۡ لَّهُمَا قَوۡلًا كَرِیۡمًا
আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং বাবা-মায়ের সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। (সুরা ইসরা: ২৩)
বাবা-মা বৃদ্ধ হলে এবং নিজেদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করতে অক্ষম হলে তাদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করা, খরচ দেওয়ার দায়িত্ব সব সন্তানের ওপরই বর্তায়। মেয়ে যদি সম্পদশালী হয়, তাদের যদি নিজস্ব মালিকানাধীন (স্বামীর নয়) সম্পদ থাকে এবং নিজের প্রয়োজনীয় খরচের পর বাবা-মায়ের জন্য খরচ করার সামর্থ্য থাকে, তাহলে সে বিবাহিতা হোক বা অবিবাহিতা, ছেলের মতো তার জন্যও বাবা-মায়ের খরচ বহন করা জরুরি।
Advertisement
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
إِنّ أَوْلَادَكُمْ هِبَةُ اللهِ لَكُمْ، يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا، وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذّكُورَ، فَهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ لَكُمْ إِذَا احْتَجْتُمْ إِلَيْهَا.
তোমাদের সন্তান তোমাদের প্রতি আল্লাহর দান। তিনি যাকে চান কন্যা দান করেন আর যাকে চান তাকে দান করেন পুত্র। তারা এবং তাদের সম্পদ দুই-ই তোমাদের, যখন তোমাদের প্রয়োজন পড়ে। (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩১৭৭)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায় ছেলেদের মতো মেয়েদের সম্পদেও বাবা-মায়ের অধিকার আছে। একইভাবে বাবা-মায়ের সম্পদেও ছেলেদের মতো মেয়েদের অধিকার আছে যেভাবে আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন।
Advertisement
ওএফএফ/জেআইএম