শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই সারাদেশের মতো জামালপুরেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এই সুযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজমের বাড়িতে আগুন দিয়ে বিজয়োল্লাস করতে থাকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। আর এখন এই পোড়াবাড়ি দেখতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে পৌর শহরের বকুলতলা মোড়ে মির্জা আজমের বাড়িতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। একে একে জ্বালিয়ে দিতে থাকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ তাদের বাসাবাড়ি।
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে যায়। এছাড়াও জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ মির্জা আজম চত্বর, মির্জা আজম অডিটোরিয়াম, আমলাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও রিক্রিয়েশন ক্লাব ভাঙচুর করা হয়।
Advertisement
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে পৌর শহরের বকুলতলায় মির্জা আজমের অগ্নিদগ্ধ বাড়ি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়। উৎসুক মানুষ মির্জা আজমের অগ্নিদগ্ধ বাড়িটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। যারা এতদিন ওই বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তারাও এদিন অগ্নিদগ্ধ বাড়িটি দেখেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকেই বাড়িটি এতিমখানায় দিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন।
মো. নাসিম উদ্দিন/এফএ/এমএমএআর/এএসএম