দেশজুড়ে

মন্দির পাহারায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা

‘মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান/মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’—বাংলাদেশে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট বলেই জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম হয়তো এই কবিটাটি লিখেছিলেন। যার প্রমাণ এখনো এদেশে দৃশ্যমান।

Advertisement

সরকার পতনের পর চারদিকের পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়েছে উঠেছে, ঠিক সেই ক্রান্তিলগ্নে নির্ঘুম রাত জেগে মন্দির রক্ষা করে চলেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন শাখার শরীয়তপুরের সদস্যরা।

জাকারিয়া, বেলায়েত, সায়েদুল আর সেলিম। এরা সবাই সমবয়সী। জাকারিয়ার বাড়ি শহরের পুলিশ লাইনে হলেও বাকি সবার বাসা সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে। তারা সবাই ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন শাখার সদস্য। সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। এ সুযোগে নাশকতাকারীদের কেউ কেউ হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ অবস্থায় শরীয়তপুরের আংগারিয়া এলাকার শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির ও শ্রী শ্রী কালি মন্দির রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন শাখার ওই চার সদস্য। এসময় বাংলাদেশের পতাকা হাতে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে মন্দির রক্ষার দায়িত্বে থাকা ও সদর থানা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি বেলায়েত বলেন, ‘এ দেশ আমাদের সবার।আমরা হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই। কেউ যাতে তাদের উপাসনালয় ভাঙতে না পারে, সেজন্য আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।’

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা রনি দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের শরীয়তপুর জেলাটি সম্প্রীতির বন্ধনে যুক্ত। পূজার সময় আমরা সবাই আনন্দ করি। তাদের ঈদেও দাওয়াতে যাই। বর্তমানে তাদের এই উদ্যোগটি প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা একসঙ্গে সবসময় এভাবেই থাকতে চাই।’

এ বিষয়ে জানতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সভাপতি রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি থানায় মন্দির রক্ষায় টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের কোনো হিন্দু ভাই ডাকলে তাদের পাশে আমাদের কর্মীরা থাকবে। আমরা চাই আমাদের এ দেশের সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকুক।’

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জিকেএস

Advertisement