র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) কর্নেল জিয়াউল আহসানকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেখানে নিযুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার জিয়াউল আহসান এনএসআইয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।এদিকে কর্নেল আনোয়ার লতিফ খানকে র্যাবের নতুন এডিজি নিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জের র্যাব-১১ এর অধিনায়ক ছিলেন।র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি মিজান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালের জুনে সেনাবাহিনীতে কমিশনড অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তাকে ২০১০ সালে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই সময় তিনি নোয়াখালীর হাতিয়ারচরে শীর্ষ বনদস্যু বাশার মাঝি গ্রুপের সঙ্গে মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পান তিনি। ওই সময় তিনি ‘বীর’ উপাধিতে ভূষিত হন। ২০১১ সালে সুন্দরবনের জলকটকাতে বনদস্যুদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জিয়াউল আহসান রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক লাভ করেন।এদিকে কর্ণেল মো. আনোয়ার লতিফ খান বৃহস্পতিবার র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশনস্) দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহ্সান’র স্থলাভিষিক্ত হলেন। কর্ণেল মো. আনোয়ার লতিফ খান ২০১২ সালের ১৩ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে র্যাব ফোর্সেস এ যোগদান করেন। তিনি র্যাব-১১ র্যাব-৫ এবং র্যাব-৭ এর অধিনায়ক হিসেবে অত্যান্ত সততা, দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ২৬তম বিএমএ লং কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। চাকরি জীবনে তিনি ৩, ৪, ১৪ ই বেংগল রেজিমেন্ট, পিজিআর এ স্টাফ অফিসারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে দায়িত্ব পালন এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশনে স্টাফ অফিসার (অপারেশন) গ্রেড-২ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তিনি ২৫ ই বেংগল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বৈদেশিক মিশন সিয়েরালিয়ন এবং সুদানে দায়িত্ব পালন করেন। একে/পিআর
Advertisement