জাতীয়

পুলিশশূন্য নগরী, ট্রাফিকের দায়িত্বে ছাত্র-জনতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

Advertisement

এ খবর পাওয়ার পরপরই নানা স্থানে অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। একই সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে নগরীতে ঘুরে কোনো ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলেনি। ফলে ছাত্র ও জনতা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ট্রাফিকের দায়িত্ব।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নগরীর বিজয় স্মরনী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় নগরীতে যানবাহনের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। নগরীর বিজয় স্মরনীতে দেখা গেছে কয়েক জন ছাত্র-জনতা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন লাঠি হাতে। নিয়মিতভাবে গাড়ি ছাড়ছেন এসব স্বেচ্ছাসেবীরা। ফলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দারুণ ভূমিকা পালন করছে এসব ছাত্র-জনতা।

আরও পড়ুন খসরু-পরওয়ার-রিজভীসহ বিএনপি-জামায়াতের হাজারো নেতাকর্মীর জামিন  অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার  বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভেঙে দিতে আলটিমেটাম 

তাদের মধ্যে একজন তেঁজগাও কলেজের শিক্ষার্থী সাইমুম হোসেন। শরীরে সাদা টিশার্ট, পরনে জিন্স ও হাতে ছোট লাঠি হাতে তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। সাইমুম বলেন, ‘কোথাও পুলিশ নাই। আমরা যেহেতু একটা জঞ্জাল দূর করেছি এই ট্রাফিকও দূর করতে পারবো।’

Advertisement

শিক্ষার্থীদের এমন ভূমিকায় খুশি নগরবাসী। মিরপুর-১০ নম্বরের যাত্রী কাজী কামাল হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশের থেকে ভালো ভূমিকা পালন করছে আমাদের সোনার ছেলেরা। এই সোনার ছেলেরা দেশ থেকে যখন স্বৈরাচার দূর করতে পেরেছে ট্রাফিক জ্যাম নিরসনও তারা করতে পারবে। আমি নিয়মিতভাবে এই রুটে যাতায়াত করে থাকি আমার মনে হয় ট্রাফিক পুলিশের থেকে ছাত্ররা ভালো ভূমিকা পালন করছে।

এমওএস/এসএনআর/জিকেএস