মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় বিব্রতবোধ করেন অনেকেই। মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দুর্গন্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। তবে আরও এক কারণে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। আর তা হলো ফ্যাটি লিভারের সমস্যা।
Advertisement
অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে ভোগেন। অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ সঞ্চিত হওয়াই এই রোগের প্রধান কারণ। প্রাথমিকভাবে খুব বেশি উপসর্গ দেখা না গেলেও এ রোগের ক্ষেত্রে একটি উপসর্গ সব রোগীর মধ্যেই দেখা দেয়। আর তা হলো মুখের দুর্গন্ধ।
কেন দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়?ফ্যাটি লিভার রোগের একটি অদ্ভুত লক্ষণ হলো মৃতের শ্বাস। বিজ্ঞানের ভাষায় ফেটর হেপাটিকাস নামেও পরিচিত এটি। এক প্রকার দীর্ঘস্থায়ী গন্ধ যা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ও মুখের গন্ধ থেকে ভিন্ন।
আরও পড়ুন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া কী? জানুন লক্ষণডায়াবেটিস-থাইরয়েডসহ ওজন বশে রাখবে যে চানির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পরে বা সকালে শ্বাসের গন্ধ পাওয়া সাধারণ। তবে লিভারের সমস্যায় যারা ভুগছেন এমন রোগীদের মুখে এ গন্ধ সব সময়ই থাকে।
Advertisement
এক্ষেত্রে সারাদিন নিঃশ্বাসে একটি স্বতন্ত্র সালফারের মতো বা বাসি গন্ধ থাকতে পারে। এটি ফ্যাটি লিভার রোগের একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ। যা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
লিভার শারীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর মূল কাজ শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ও ভারী ধাতুকে রক্ত থেকে পরিশুদ্ধ করা। তবে বিভিন্ন কারণে লিভার সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
তখনই ক্ষতিকর উপাদানগুলো দেহের অন্যান্য অঙ্গে জমা হতে থাকে। শ্বসনতন্ত্রও তার ব্যতিক্রম নয়। এ ধরনের একটি পদার্থ হলো ডাইমিথাইল সালফেট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপাদান শ্বাসের মাধ্যমে নির্গত বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয় বলেই এমন গন্ধ হয় মুখে। মুখে দুর্গন্ধের পাশাপাশি ত্বক হলুদ হওয়া, পেটে ব্যথা ও পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ।
Advertisement
এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন দ্রুত। লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমলে তা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই দ্রুত এ রোগের চিকিৎসা করুন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারণ করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম