ধর্ম

ফরজ নামাজের পর যে দোয়া পড়তেন নবিজি (সা.)

মুগিরা ইবনে শোবার (রা.) পত্রলেখক ওয়াররাদ (রা.) বলেন, মুগিরা ইবনে শোবা (রা.) আমাকে দিয়ে হজরত মুয়াবিয়ার (রা.) কাছে একটি পত্র লেখালেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর বলতেন,

Advertisement

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আ’তাইতা ওয়া লা মু’তিয়া লিমা মানা’তা ওয়া লাত ইয়ানফাউ যাল জাদ্দি মিনাল জাদ্দু

আনুবাদ: এক আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, একচ্ছত্র ক্ষমতা একমাত্র তারই, সব প্রশংসা তারই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা রোধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা দেওয়ার কেউ নেই। আপনার কাছে (নেক আমল ছাড়া) কোনো সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না। (সহিহ বুখারি: ৮৪৪)

Advertisement

নবিজিকে (সা.) অনুসরণ করে আমরাও প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এ দোয়াটি পড়তে পারি।

দোয়া মুমিনের বৈশিষ্ট্য

আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা, প্রার্থনা করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। দোয়ার মাধ্যমে যেমন আল্লাহর আনুগত্য ও রহমত লাভ করা যায়, আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচা যায়, শয়তানের ধোঁকা ও দুনিয়াবি বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়, একইভাবে দোয়ার মাধ্যমে ঈমানও প্রকাশ পায়। আল্লাহর প্রতি বান্দার ভরসা ও নির্ভরতা প্রকাশ পায়। বান্দার বিনয় ও অহংকারহীনতা প্রকাশ পায়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন,

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ

তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া কর, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত হতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সুরা গাফির: ৬০)

Advertisement

ওএফএফ/জেআইএম