হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।
Advertisement
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জনতা মিছিল নিয়ে বড় বাজার থেকে থানার দিকে আসতে থাকেন। এসময় ঈদ গায়ের সামনে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। তখন পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, কাঁদনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এবং আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। সংঘর্ষের সময় শিশুসহ ৬ জন আন্দোলনকারী নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন আরও শতাধিক লোক।
নিহতরা হলেন যাত্রাপাশা গ্রামের সানু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (১২), মাইঝের মহল্লার আব্দুর নূরের ছেলে আশরাফুল (১৭), পাড়াগাওয়ের শমশের মিয়ার ছেলে মোজাক্কির (৪০), কামালখানী গ্রামের নয়ন (১৮), জাতুকর্ণপাড়া গ্রামের আব্দুল রউফের ছেলে তোফাজ্জল (১৮) ও পূর্বগড়ের ধলাই মিয়ার ছেলে সাদিকুর (৩০)। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা থানায় অগ্নিসংযোগ করে।
বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার বলেন, ৬ জনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত) মোট ৬২ জন ভর্তি হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
Advertisement
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নূরুল হক জানান, ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য তিনি শুনতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা বানিয়াচং গিয়েছিলাম। থানায় ঢুকতে পারিনি। প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছি কোনো রকমে। এর বেশি কিছুই বলতে পারছি না।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, কতজন মারা গেছে আমরা জানি না। এখন আমরা সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে আছি। থানার অবস্থা সম্পর্কেও জানি না। তবে মনে হয় থানায় কেউ নেই। সেনাবাহিনী আছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement