দেশজুড়ে

যশোরে শাহীন চাকলাদারের হোটেলে অগ্নিসংযোগ, নিহত বেড়ে ১৮

যশোরে জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের অধিকাংশই আন্দোলনকারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বিজয় মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাত ১১টা পর্যন্ত আগুনে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণার পর সোমবার বিকেলে বিজয় মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি দল জাবির হোটেলে হানা দেয়। এ সময় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী হোটেলটির বেজমেন্টে ঢুকেই সিঁড়ি বেয়ে ১৪ তলা পর্যন্ত উঠে যায়। এদিকে নিচে থাকা বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজন যুবক পেট্রল দিয়ে আগুন দিতে শুরু করে। পর্যায়ক্রমে তারা কয়েকটি তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দাউ দাউ করে পুরো ১৪ তলা ভবন কয়েক মিনিটের মধ্যে জ্বলতে থাকে।

এ অবস্থায় ভবনের উপরের তলাগুলোতে থাকা বেশিরভাগ আন্দোলনকারী বের হতে পারেননি। ফলে আগুনের ধোয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তারা মারা যান। হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করা আন্দোলনকারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এ অঞ্চলের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেলটির মালিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।

আরও পড়ুনকুমিল্লায় এমপি বাহারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন, ৪ জন পুড়ে ছাই 

সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের পর হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিজয় মিছিলে থাকা বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিন বিকেল চারটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের শুরু হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

Advertisement

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বলছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর মরদেহ মিলছে। এখনো কয়েকটি তলা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যশোরের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। মিলন রহমান/কেএসআর