দেশজুড়ে

সাতক্ষীরা কারাগার ফাঁকা, নিহত ৫

সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় কারাগারের সব আসামি পালিয়ে যান।

Advertisement

এদিকে, সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনসহ চারজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া সাতক্ষীরা সদর থানা, শ্যামনগর থানা, জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ট্রাফিক পুলিশ অফিসসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শোনার পর দুর্বৃত্তরা এসব ঘটনা ঘটায়।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নাকলায় বাড়ির সামনে দিয়ে বিজয় মিছিল করছিল আন্দোলনকারী জনতা। এসময় তারা জাকিরের বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ঘরে আগুন দিতে গেলে জাকির তার নিজস্ব বন্দুক দিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন আনাস বিল্লাহ নামের একজন। এছাড়া কমপক্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তারা জাকির চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গলা কেটে হত্যা করেন।

এদিকে, দুর্বৃত্তরা প্রথমে শহরের পাকা পোলের কাছে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়।

অন্যদিকে সুলতানপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সৈয়দ কামাল বখত ছাকীর বাসভবন ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এরতেজা হাসান জজের অফিস। পরে তারা সদর থানার সামনের পুলিশের ট্রাফিক অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর সদর থানা গেটসহ বাইরের স্থাপনা ভাঙচুর করেন।

একইভাবে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেজুঁতির বাসভবন, দৈনিক পত্রদূত অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ সম্পাদিত কালেরচিত্র অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

Advertisement

এসআর/জেআইএম