দেশজুড়ে

ঝিনাইদহে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬০

ঝিনাইদহে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) শহরে বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

Advertisement

এদিকে বিকেল ৫টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় সরকার দলীয় সমর্থকরা। পরে পুলিশি পাহারায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মুজিব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তারা কেন্দ্রীয় ঘোষিত এক দফার পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকেন। তখন পুলিশ পিছু হটে। পরে আন্দোলনকারীরা পায়রা চত্বরে জড়ো হয়ে অবস্থান নেয়।

অপরদিকে একই সময়ে বাস টার্মিনাল এলাকায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শহরের দিকে এগোতে থাকেন। তারা থানার সামনে আসলে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোঁড়ে। তখন আন্দোলনকারীরা থানা ঘেরাও করে। এসময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২৪ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের তিনটি গ্রুপ অবস্থারে ছিল। এরমধ্যে শোনা যায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছ। একটি দল থানার সামনে আসলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, সংঘর্ষে আমাদের উপ-পরিদর্শকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়। তারা আমাদের দুটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, আহতদের কয়েকজনের শরীরের ছররা গুলির আঘাত রয়েছে। কেউ টিয়ারশেলে আহত হয়েছেন। তবে হাসপাতালে আসা আহতদের চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএইচ