বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে চলছে শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা। মুহূর্তে মুহূর্তে রং বদলাচ্ছে। এক প্যানেল ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। অন্য প্যানেল আজ জনাকীর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে করলো প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। রাজধানির ওয়েস্টইন হোটেলে আয়োজিত বাঁচাও ফুটবল প্যানেলের আহ্বায়ক, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মঞ্জুর কাদের বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ইয়থ ডেভেলপমেন্ট খাতে ফিফার কাছ থেকে পাওয়া প্রায় ১০০ কোটি টাকা পেয়েছেন গত আট বছরে পেয়েছেন। এই টাকা কোথায় ব্যায় করেছেন? বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কী গত আট বছরে ইয়থ ডেভেলপমেন্ট খাতে একটি টাকাও পেয়েছেন বাফুফের কাছ থেকে? সবাই উত্তর দিল, না।ফিফার কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থের ব্যাখ্যাও দেন মঞ্জুর কাদের। তিনি বলেন, ‘ইয়থ ডেভেলপমেন্ট খাতে ফিফা এবং এএফসি থেকে প্রতিবছর বাংলাদশে ফুটবল ফেডারেশন ১৫ লক্ষ ডলার করে পেয়ে থাকে। টাকার হিসেবে যার পরিমান প্রায় ১২ কোটি টাকা। কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে পরিচালনা করেছেন দুই মেয়াদে আট বছর। অথ্যাৎ তিনি ফিফা-এএফসির কাছ থেকে পেয়েছেন ৯৬ কোটি টাকা। সেফ ব্ল্যাটার যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন আরও ৭ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন তিনি। অথ্যায় সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি।’মঞ্জুর কাদের আরও বলেন, ‘এই টাকা এসেছে ইয়থ ডেভেলপমেন্টের জন্য। অথ্যাৎ জেলার ফুটবল, থানা কিংবা গ্রামে-গঞ্জে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু জেলা ফুটবল কর্মকর্তা যারা এসেছেন, তারা কী গত আট বছরে কখনও একটি ডলারও পেয়েছেন ফুটবলের উন্নয়নের জন্য?’ সবাই সমস্বরে উত্তর দিল, না।বাঁচাও ফুটবল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান বলেন, ‘আমাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে বাফুফে পরিচলনায় স্বচ্ছতা আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এক টাকা ব্যায় করি আর ১ কোটি টাকা ব্যায় করি, তা পুরোপুরি তুলে ধরা হবে বাফুফের কাউন্সিলরদের সামনে। প্রতি তিন-চার মাস পর কাউন্সিলরদের নিয়ে মিটিং করে তাদের মতামতের ভিত্তিতেই নেয়া হবে সব সিদ্ধান্ত। তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবল ছড়িযে দিতে পারলে খেলোয়াড় উঠে আসবে। তাহলেই কেবল আমরা জাতীয় দলে সাফল্য পেতে পারবো।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement