চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে মো. শহীদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি মুদি দোকানি ছিলেন।
Advertisement
শনিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ৮টার দিকে বহদ্দারহাটে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টায় আহত অবস্থায় মো. শহীদকে পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নেওয়া হয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চসিক মেয়রের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নেন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩ চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুরচট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-অভিযান) আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বহদ্দারহাটে পুলিশ কোনো গুলি ছোড়েনি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে এবং লাঠিচার্জ করেছে। ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বহদ্দারহাটে সংঘর্ষের পরপরই সড়কে যান চলাচল একেবারে কমে যায়। নগরের প্রতিটি মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
এর আগে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর মেয়র গলির চশমা হিলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসায় হামলা চালানো হয়। এছাড়া নগরীর লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং আগুন দেওয়া হয়।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শেষে বিকেলে টাইগারপাসেই আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কারও ওপর হামলা করেনি।’
এএজেড/কেএসআর