টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দিনদুয়েক ধরে গোটা পশ্চিমবঙ্গে চলছে একনাগাড়ে বৃষ্টি। তাতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে কলকাতা বিমানবন্দরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা।
Advertisement
শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকেই দেখা নেই সূর্যের। বৃষ্টি মাঝে মধ্যে থামছে ঠিকই, তবে বিরাম খুব বেশি নেই। পানি জমেছে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলবদ্ধতা দূর করতে সকাল থেকেই কাজ করছেন পৌরসভার কর্মীরা। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও জমে থাকা প্লাস্টিক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, যাতে পানি নামতে অসুবিধা না হয়।
আরও পড়ুন>>
কোটা আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতায় বিক্ষোভ বাংলাদেশে অস্থিরতা/ ফিরে গেলেন সাড়ে ৪ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশে অস্থিরতায় ‘লালবাত্তি’ কলকাতা নিউমার্কেটেএকটানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যদিও তাতে প্লেন ওঠানামা বন্ধ হয়নি।
Advertisement
Kolkata | Flight operations at Kolkata Airport are proceeding normally despite heavy rainfall. Both the runway and all taxiways are fully operational. However, a few parking stands are affected by waterlogging for which additional pumps have been deployed. pic.twitter.com/ddrEu4rmVE
— NDTV (@ndtv) August 3, 2024অতিভারী এই বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর মধ্যেই বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে পানি ছাড়া হয়েছে। ডিভিসির পক্ষ থেকে অরবিন্দকুমার সিং জানিয়েছেন, শনিবার সকালে মাইথন ব্যারেজ থেকে ১২ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত ব্যারেজ থেকে ৩৬ হাজার ইউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৭০ হাজার কিউসেক পানি।
ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ব্যারেজগুলোতে পানির চাপ বাড়বে। সেই চাপ কমাতে পানি ছাড়বে ব্যারেজগুলো। অতিরিক্ত পানি ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে গোটা পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, শনিবার সারাদিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টিপাত চলবে দিনভর। তবে দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টির ধারা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়ার বেগ ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ডিডি/কেএএ/