কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় টানা ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে রোববার (৪ আগস্ট) খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে এদিনও দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী পৌরসভা এলাকার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
Advertisement
গত ৩১ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, শুক্রবার (২ আগস্ট) হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, পাবনা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত বহাল আছে কি না, তা জানতে উদগ্রীব অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।
Advertisement
মাহবুবুর রহমান তুহিন বলেন, ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদী পৌর এলাকা বাদে অন্যান্য সব জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
৩১ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১২টি সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী জেলার পৌর এলাকাসমূহ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় লার্নিং সেন্টারসমূহ আগামী ৪ আগস্ট রোববার থেকে শ্রেণি কার্যক্রম অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।
এতে আরও বলা হয়, আদেশের আওতাভুক্ত সব জেলায় চলমান কারফিউয়ের সময়সীমা বিবেচনায় রেখে শিখন-সময় সমন্বয়ের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্থানীয় বাস্তবতার আলোকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে গত ১৭ জুলাই রাতে দেশের ৮টি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। নামানো হয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এএএইচ/এমএইচআর/জেআইএম