বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি হাইকোর্টের আগামীকাল রোববারের (৪ আগস্ট) কার্যতালিকায় এসেছে।
Advertisement
শনিবার (৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চের রোববারের কার্যতালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকে বিষয়টি (ফর অর্ডার) আদেশের জন্য রয়েছে।
গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি একটি রিট করেন। এই রিটে ‘আন্দোলনকারী বা বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় নামার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তাদের ওপর প্রাণঘাতি গুলি না চালানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই রিটে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেওয়াকে বেআইনি উল্লেখ করে তাদের মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।’
আরও পড়ুন:ডিবি থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ককেন পুলিশ গুলি করলো তার তদন্ত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকোটাবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলা ৭৯৮, গ্রেফতার ১০৩৭২একপর্যায়ে সোমবার ও মঙ্গলবার এই রিটের আংশিক শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার ৩১ জুলাই দিন ধার্য করা হয়। আগের দিন মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) শুনানিতে দুই বিচারপতির হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘সমস্ত মৃত্যুই আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা এমন কোনো কাজ করবো না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়।’
Advertisement
তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের অপর বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নেওয়ায় দ্বৈত বেঞ্চ বসেনি। কেবলমাত্র বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের একক বেঞ্চ পরিচালনা করেন বলে জানান বেঞ্চ অফিসার রেজাউল করিম।
হাইকোর্টে এই রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক, আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি।
আর রাষ্ট্রপক্ষে সোমবার ও মঙ্গলবার শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। বুধবার আদালতে এসেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এছাড়া এই রিটের শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নূরুল ইসলাম সুজন, মমতাজ উদ্দিন ফকির, আজহার উল্লাহ ভুইয়া ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ মনজুরুল হক।
Advertisement
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম