সিলেটে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন আবুল হাসনাত রাকায়েত ও জাহেদ হাসান। তারা দুজনই সিলেট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ও এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
Advertisement
গত ১৮ জুলাই তাদেরকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ২০ জুলাই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
আবুল হাসনাত রাকায়েত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মুর্শেদ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তার পরিবার নগরীর ভাতালিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। আর জাহেদ হাসান হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মো. দিলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে জাহেদের পরিবার আম্বরখানা মজুমদারি এলাকায় বসবাস করছেন।
আবুল হাসনাত রাকায়েত ও জাহেদ হাসান সিলেট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের দুজনের প্রবেশপত্র দেখে পরীক্ষার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে জাগো নিউজ।
Advertisement
রাকায়েতের বাবা মুর্শেদ মিয়া জানান, ১৮ জুলাই তার ছেলের জন্মদিন ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এদিন সকালে বাইরে গিয়েছিল। বিকেলে রাকায়েতের আরেক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
মুর্শেদ মিয়া আরও জানান, আটকের খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে জালালাবাদ থানায় যান তিনি। কিন্তু কোনোভাবে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে অপেক্ষা করে রাত তিনটার দিকে বাসায় ফেরেন। পরের দিন আদালতে ছেলের সঙ্গে তার দেখা হয়।
তিনি জানান, রাকায়েতকে ১৮ জুলাই আটক করা হয়। ২০ জুলাই জালালাবাদ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদ মামুন বলেন, ঘটনার সময় অনেককে আটক করা হয়েছিল। যাদেরকেই আটক করা হয়েছিল তারা ঘটনাস্থলেই ছিল। এদের মধ্যে কেউ এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকলে আদালতে কাগজপত্র দেখালে সহজে জামিন পেয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
Advertisement
আহমেদ জামিল/এফএ/জেআইএম