জাতীয়

‘আমার পোলা যখন হাসপাতালে কান্দে তখন কইলজাটা ফাইট্টা যায়’

‘আমার পোলাডা আরেকজনরে বাঁচাইতে গিয়া নিজে দুই পায়ে গুলি খাইয়া পইরা রইছে। আমি আমরা দুইডা বাচ্চা নিয়া এহন কি করমু, আমার তো স্বামী নাই। আমি সন্তানের জন্যে রাস্তায় রাস্তায় পইরা থাকি। এই সন্তানটা ছাড়া আমি কি করমু। আমার পোলা যখন হাসপাতালের বেডে কান্দে তখন আমার কইলজাটা ফাইট্টা যায়’— কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন গত ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বরে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ এসএসসি পরীক্ষার্থী মোবারক হোসেনের মা।

Advertisement

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০ টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সন্তানের পাশে অভিভাবক’ এর ব্যনারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এভাবেই বিচারের দাবি জানান এই মা।

তিনি বলেন, আমার সন্তানের এক পা ভাঙ্গা, গুঁড়া গুঁড়া হয়া গেছে। এহন আমার পোলা হাঁটতে পারবো কি পারবো না তাও কইতে পারি না। আমার পোলার হাসপাতালেে বেডে শুইয়া কান্না আমি সহ্য করতে পারি না। আমি কতটা দিন ধরে আমার সন্তানরে লইয়া হাসপাতাল পইরা আছি। আমি এই সন্তান নিয়া এহন কি করমু? কার কাছে যামু? আমার তো এমন কোন লোকও নাই যে আমারে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন>>>গণভবনে জরুরি বৈঠক: আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ

‘সন্তানের পাশে অভিভাবক’ ব্যনারের অন্যতম সমন্বয়ক রাখাল রাহা বলেন, আমাদের দুই শতাধিক সন্তান-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সন্তানরা আহত হয়েছে। কয়েক হাজার আটক করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি মামলা দেওয়া হচ্ছে। তার মানে লক্ষ লক্ষ সন্তান, মানুষের জীবন আজ হুমকির মুখে। সুতরাং আমাদের অভিভাবক হিসেবে আজ রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে। আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি মানে আজকে থেকেই এটা শেষ নয়। আমার সন্তানরা তাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে যতদিন রাজপথে থাকবে আমরাও ততদিন তাদের পাশে থাকব।

Advertisement

এ ছাড়াও মানববন্ধনে গুলিবিদ্ধ, আহত, আটককৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বক্তব্য দেন।

এমএইচএ/এসআইটি/জেআইএম