প্যারিস অলিম্পিক ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফ্রান্সের জন্য ছিল প্রতিশোধের। ফরাসিরা প্রতিশোধও নিয়েছে ঠিকমতোই। আর্জেন্টিনাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ফরাসিরা। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপত্তি। ম্যাচ শেষে সৃষ্টি হয় দারুণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষের খেলোয়ড়ারা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন দলের কোচিং স্টাফরাও। গ্যালারিতে ধস্তাধস্তিতে মেতে ওঠেন দর্শকরা।
Advertisement
সংঘর্ষের জেরে লালকার্ড দেখেছেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার এনজো মিলোট। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের বলছে, জয় উদযাপনের সময় তিনি আর্জেন্টিনার বেঞ্চের খেলোয়াড়দের লক্ষ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছেন। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে আর্জেন্টিনারর বিদায়ই বেশি কষ্ট দিচ্ছে কোচ হ্যাভিয়ের মাচেরানোকে। ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন এই কোচ। ফুটবলের এমন আচরণ যেতে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। যেখানে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না, ফুটবলাররা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন; তবুও জয় পায়নি আর্জেন্টিনা।
শুক্রবার মাতমুট আটলান্টিকে স্টেডিয়ামে বলের দখল, লক্ষ্যে শট, গোলচেষ্টা সবদিকেই এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। তবে ম্যাচের ৫মিনিটে ফ্রান্সের জ্যাঁ ফিলিপে মাতেতার করা গোলটি আর শোধ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বেশ কিছু গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল মাসচেরানোর দল। তারা আক্রমণ করেছিল মোট ১৬ বার। তবে গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পায়নি আলবিসেলেস্তারা।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে মাচেরানো বলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু ফুটবল প্রতিভা বোঝে না। এটাই বাস্তবতা এবং আজ (গতকাল) ছিল আমাদের ঘরে ফেরার পালা।’
খেলোয়াড়ী জীবনে বহুবার ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনার হার দেখেছেন মাচেরানো। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনাল হেরেছিলেন মাসচেরানো। এবার কোচ হিসেবে আরও একটি ফাইনাল হারলেন তিনি।
আর্জেন্টিনার ফাইনাল হারার কথা মনে করে মাচেরানোর বলেন, ‘যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি সেটা নতুন কিছু না। ফুটবল এমনই। হার এড়াতে সম্ভাব্য সবকিছু করার পরও খালি হাতে ফিরতে হলো। এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। আমরা গোল পাইনি। ম্যাচে প্রথম ১৫ মিনিট কঠিন ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে গোল হজমের পর। এরপর দল গুছিয়ে নিয়েছে এবং সমতায় ফেরার বেশ কিছু সুযোগও পেয়েছে।’
এমএইচ/জেআইএম
Advertisement