বিনোদন

শেষ অ্যালবাম আসছে, ‘চন্দ্রবিন্দু’ কি বন্ধ হচ্ছে

‘আমার ভিনদেশি তারা’, ‘বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়’সহ বহু জনপ্রিয় গানের ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু। বেরুচ্ছে দলটির দশম ও শেষ অ্যালবাম। এরপর কি বন্ধ হয়ে যাবে দলটির কার্যক্রম? সে ব্যাপারে জানিয়েছেন দলের ভোকাল উপল সেনগুপ্ত।

Advertisement

জানা গেছে ১০ গান নিয়ে বেরুচ্ছে ‘চন্দ্রবিন্দু’র নতুন অ্যালবাম। একেবারে নতুন আবহে দশম ও শেষ অ্যালবামটি প্রকাশ করবে দলটি। সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে উপল বলেন, ‘আগে তো ১০টা ১২টা গান দিয়ে অ্যালবাম করা হতো। এখন আর সেটা হয় না। এ পর্যন্ত আমাদের ৯টি অ্যালবাম বেরিয়েছে, অর্থাৎ ৯০টি গান বেরিয়েছে। নতুন অ্যালবাম বেরুলে ১০০ পূর্ণ হবে। আমাদের একটা স্বপ্ন পূরণ হবে।’

১৯৮৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রবিন্দু। কবি চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের ব্যতিক্রম কবিতা থেকে গান করায় দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় দলটি। ১৯৯৭ সালে বের হয় দলের প্রথম অ্যালবাম ‘আর জানি না’। পরের বছর ‘গাধা’ অ্যালবামের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী সংগীতপ্রেমী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় চন্দ্রবিন্দু। অনেক ঘরে বাজতে শোনা যায় ‘বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়’ গানটি। শেষ অ্যালবাম প্রকাশের পর কি দলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে? জানতে চাইলে উপল সেনগুপ্ত বলেন, ‘অ্যালবাম আর বেরুবে না। কিন্তু একক গান মুক্তি পাবে।’ অর্থাৎ শেষ অ্যালবাম হলেও কার্যক্রম চলবে চন্দ্রবিন্দুর।

আরও পড়ুন:জয়া আহসান নাকি ‘বিটিভি-ফার্মগেটের মাঝখানে’যেন বেডরুমের বাতি অফ-অন হচ্ছে

শেষ অ্যালবামে থাকবে চন্দ্রিল ভট্টাচার্যর দুটি, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের চারটি এবং উপল সেনগুপ্তর চারটি গান। সংবাদমাধ্যমকে উপল বলেন, ‘এখন তো সবকিছু ভার্চুয়াল জগতের ওপর নির্ভরশীল। গানগুলো যদি সিডি আকারে মুক্তি পায়, তাহলে শ্রোতাদের জন্য চমক হিসেবে থাকবে দুটি বাড়তি গান। সেগুলো অনলাইনে থাকবে না। যারা সিডি কিনবেন, ওই গানদুটি শুধু তাদের জন্য।’

Advertisement

চন্দ্রবিন্দুর নতুন অ্যালবামের নাম এখনও ঠিক হয়নি। চলছে নতুন গানগুলোর রেকর্ডিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরেই মুক্তি পাবে অ্যালবামটি। সর্বশেষ ২০১২ সালে বেরিয়েছিল তাদের অ্যালবাম ‘ত্বকের যত্ন নিন’। বর্তমানে দলের লাইন আপে রয়েছেন গিটারে সুরজিৎ, রিজু, অরুপ, পারকিউশনে রাজশেখর, গীতিকার চন্দ্রিল, গীতিকার ও ভোকাল অনিন্দ্য, কিবোর্ডে দ্রোণ, গীতিকার ও ভোকাল উপল।

আরএমডি/এমএস