হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গণমিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। এদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ বলে জানা গেছে।
Advertisement
শুক্রবার (২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা গণমিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তাক মিয়া (২৮)। তিনি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অস্থায়ী কর্মচারী ও সিলেটের টুকেরবাজার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা আসছেন।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, নিহত ব্যক্তির ডান দিকের পিঠে এবং ডান হাতে গুলির আঘাত রয়েছে।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামছুল হক বলেন, নিহতের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। ইটপাটকেলে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের প্রকৃত সংখ্যা আমরা এখনো পাইনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাদ জুমা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ চত্বর ও খোয়াই নদীর তীরে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে গণমিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে নূরুল হেরা জামে মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা এসে তাদের ধাওয়া দেন। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের বাসার সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও এমপির বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে শহরে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
Advertisement
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে। এসময় রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় মোস্তাক মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/এমএস