খাগড়াছড়িতে টানা দুইদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে শতাধিক পরিবার।
Advertisement
শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোর থেকে খাগড়াছড়ি সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, কলেজ রোড, ঠাকুরছড়াসহ চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি ঢোকে। দুই মাসের ব্যবধানে তিনবার পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নদী ও ছড়ার পাড়ের বাসিন্দারা।
খাগড়াছড়ির পৌর শহরের বাসিন্দা মুন্নী বলেন, আমার ঘর বাড়ি তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি ঢুকে ঘরের জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি না নামলে পানি কমারও সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি বাড়লে দুর্ভোগও আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দীঘিনালার মাইনী নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। পানা বাড়ির ফলে দীঘিনালার মেরুং ও কবাখালীর নদী পাড়ের কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
Advertisement
ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে দীঘিনালার পুরাতন বাজারে পানি উঠার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্গতদের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএইচ/এএসএম
Advertisement