নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বালুরমাঠ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে এই ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে আহত হন।
Advertisement
এর আগে বিকেল থেকেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। এসময় তাদের সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে যুক্ত হয় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল। তাদের দেখে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশের একটি দল শহীদ মিনারে প্রবেশ করে সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলে।
পরে শিক্ষার্থীরা বালুর মাঠ সড়ক দিয়ে মিছিল বের করে। এসময় তাদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়ার মুখে বালুর মাঠ সড়কের ইসলাম হার্ট সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এরপর সোয়া সাতটার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করতে চাইলে ফের বাঁধা ও লাঠিপেটা করে পুলিশ।
Advertisement
এ বিষয়ে সুজনের জেলা সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, আজকে শিক্ষার্থীরা নিহতদের স্মরণ করে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অনুমতি ছাড়া কিছু লোকজন মোমবাতি প্রজ্বলন, মশাল মিছিল, বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। কোনো প্রকার লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেনি।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement