পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় প্রতিরোধ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপিং’ করছে সরকার। এটি দেশের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ এবং আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নীতিমালা গ্রহণে সহায়ক হবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বন অধিদপ্তরের ‘টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল ম্যাপিং’ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ কার্যক্রমের আওতায় টিলা এবং পার্বত্য অঞ্চল, হ্রদ, হাওর, বাওর, বিল এবং ঝিলসহ প্রাকৃতিক জলাভূমির একটি বিশদ মানচিত্র প্রস্তুত করা করা হচ্ছে। পাহাড় এবং পাহাড়ি অঞ্চল এবং প্রাকৃতিক জলাভূমির ‘ন্যাচারাল ক্যাপিটাল’র ডেটাবেস সংরক্ষণ, দৃশ্যায়ন, প্রক্রিয়াকরণ এবং অনুসন্ধানের জন্য একটি এমআইএস সিস্টেম প্রস্তুত করা হবে।
তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট এলাকার প্রাকৃতিক মূলধন বোঝার মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবা, কোন লোকদের বর্তমানে এই পরিষেবাগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং কোথায় সম্পদ তৈরি বা বর্ধিতকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত তা বোঝা যাবে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক মূলধনের ম্যাপিং স্থানীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে এর বর্তমান এবং সম্ভাব্য মূল্যকে একীভূত করার জন্য একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করতে সহায়ক হবে।
সভায় তিনি প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বন অধিদপ্তরের উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরএএস/এমকেআর
Advertisement