টেস্টোস্টেরন হরমোন লেভেল এবং ডিএনএ টেস্টে ব্যর্থতার কারণে গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বহিষ্কার করা হয়েছিল আলজেরিয়ার ইমানে খেলিফকে। তিনিই কিনা খেলছেন অলিম্পিকের মতো আসরে!
Advertisement
বিতর্কিত বক্সার ইমানে খেলিফের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই কাঁদতে কাঁদতে ম্যাচ ছেড়েছেন ইতালির অ্যাঞ্জেলা কারিনি। প্যারিস অলিম্পিকের যে ম্যাচ ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
গত বছর আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনার পদকের ম্যাচ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল ইমানে খেলিফকে। তবে তাকে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্যারিস অলিম্পিকে। যা আয়োজনের দায়িত্বে আছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
সেই পরিস্থিতিতে আজ (বৃহস্পতিবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে বড়সড় কেলেঙ্কারি বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যখন 'এক্সওয়াই' ক্রোমোজোমের নিয়মের কারণে আলজেরিয়ানকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল, তখন তাকে কেন অলিম্পিক্সে নামতে দেওয়া হবে? এমনকি বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও।
Advertisement
বৃহস্পতিবার আলজেরিয়ার সমর্থকদের তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে নর্থ প্যারিস এরিনায় আসেন খেলিফ। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইতালির বক্সার অ্যাঞ্জেলা।
আলজেরিয়ানের থেকে ইতালির বক্সারের উচ্চতা ছয় ইঞ্চি কম। ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মাথায় নিজের হেডগিয়ার ঠিক করতে কোচের কাছে আসেন অ্যাঞ্জেলো। তারপর ফের শুরু হয় ম্যাচ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই কর্নারে ফিরে গিয়ে ম্যাচ ছেড়ে দেন ইতালির বক্সার।
রীতিমত কাঁদতে কাঁদতে রিং ছাড়েন অ্যাঞ্জেলা, তার নাক দিয়ে রক্তও ঝরছিল। প্রস্থানের আগে অ্যাঞ্জেলা বলেন, ‘প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। বাবাকে গর্বিত করতে এই লড়াইয়ে নেমেছিলাম। আমাকে অনেকবারই যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কিন্তু আমার শরীরের কথা ভেবে থামতে হলো। আমি কখনও এমন ঘুষি খাইনি।’
‘দ্বিতীয় আঘাতের পর আমি নাকে অসহ্য ব্যথা অনুভব করি। এত বছরে রিংয়ে আমার জীবনে এত লড়াইয়ে কখনও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি’-যোগ করেন ইতালিয়ান বক্সার।
Advertisement
এদিকে আলজেরিয়ার বক্সারের বিরুদ্ধে তার দেশের খেলোয়াড়ের সেই ম্যাচ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিও। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, যে অ্যাথলেটদের পুরুষদের মতো জিনগত বৈশিষ্ট্য আছে, তাদের মহিলাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত হয়নি। কারও বিরুদ্ধে বৈষম্য হোক, সেটার জন্য নয়, বরং সমতা বজায় রেখে মহিলা অ্যাথলিটরা যাতে লড়াই করতে পারেন, সেটার অধিকার রক্ষা করতেই এই কাজটা করা উচিত।’
এমএমআর/এএসএম