এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৭ জন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৯৩ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২ জন, বরিশালে ২৭ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, খুলনায় ১৪ জন, ময়মনসিংহে ৭ জন এবং রাজশাহী বিভাগে একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ছয় হাজার ৫১৭ জন। যাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী।
Advertisement
১ জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত মৃত ৫৭ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ।
আরও পড়ুন
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানপ্রতিবছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
Advertisement
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই বছর চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান।
এএএম/কেএসআর/এএসএম