সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই গুজবের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন ইস্যুতে চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই তারা কাজটি করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ব্যবহারকারী ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই রিপোস্ট এবং শেয়ার করতে থাকেন। ফলে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
Advertisement
এই গুজবের কারণে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এবং ধর্মের বিভিন্ন রকম ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। কখনো কখনো ব্যক্তির নামে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়। সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও গুজব ছড়ানো হয়। কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে গুজব ছড়িয়ে থাকেন। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
‘পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের জন্য মানুষের মাথা লাগবে’ এমন ভুয়া খবরে সয়লাব হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। মসজিদ বা মন্দিরের অবমাননার ছবি ছড়িয়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সহিংসতাও ছড়াতে দেখা যায়। ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। ফলে বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট সরাসরি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুজব ঠেকানোর ব্যবস্থা নিয়েছিল।
আরও পড়ুন
Advertisement
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরেও বিভিন্ন ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে। অনেকেই এসব দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে বোদ্ধারা যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। গুজবে বিভ্রান্ত না হতেও আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। ১ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন বিপদের কারবার।’
সাধারণত গুজবগুলো ফেসবুক নিউজ ফিড আর ইনবক্সের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যারা এসব পোস্ট শেয়ার করে, তারা ম্যানুয়ালি ঘণ্টায় ১০ হাজার মানুষের কাছে একটি মেসেজ পাঠাতে পারে। তাই একই পোস্টের কাউন্টার পোস্ট ভাইরাল করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে ঘণ্টায় ১ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
আবার এ ধরনের গুজবের পোস্ট দেখলেই সেটি নিয়ে স্ট্যাটাস না দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করা উচিত। যখন অনেক মানুষ একসঙ্গে রিপোর্ট করবে; তখন সয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুক একটি ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া প্রি-ভাইরাল অ্যাওয়ারনেস জরুরি। কোনটি গুজব আর কোন ধরনের পোস্ট শেয়ার করা যাবে না। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা খুব জরুরি।
এসইউ/এএসএম
Advertisement