ভারী বৃষ্টির কারণে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত পাঁচটি জাহাজ থেকে গম ও সার খালাস করা যাচ্ছে না। ফলে বন্ধ রয়েছে গম ও সার খালাস।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরে আসা বাণিজ্যিক জাহাজ সংশ্লিষ্ট এজেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরের পাঁচটি বিদেশি জাহাজ থেকে খাদ্যপণ্য ও সার খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। পণ্য খালাসের জন্য বন্দরে গম, সার, ক্লিংকার, গ্যাস ও মেশিনারিজসহ মোট ১২টি জাহাজ অবস্থান করছে। এরমধ্যে দুটি গমের ও তিনটি সারের জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়নি। অন্যান্য পণ্যের ক্ষতি হবে না বলে বাকি সাতটি জাহাজ থেকে বৃষ্টির মধ্যেও পণ্য খালাস চলছে।
এরমধ্যে ১ জুলাই মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ার-৫ নম্বর বয়ায় অবস্থান নেয় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি প্রটেক্টর এসটি রাফায়েল। এই জাহাজে ২১ হাজার ৮০০ টন গম রয়েছে। এছাড়া ১৬ জুলাই এমভি এলিন কারেজ ২২ হাজার টন গম নিয়ে হাড়বাড়িয়া-৬ নম্বর বয়ায় অবস্থান নেয়।
Advertisement
সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীর জয়মনির ঘোল এলাকায় ‘মোংলা সাইলো’ নামে সরকারি খাদ্য গুদামে এই গম খালাস করা হচ্ছিল। জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট রেনু শিপিংয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী মাহাবুবুল হক শুভ এসব তথ্য জানান।
অপরদিকে এদিকে একই কারণে বন্ধ রয়েছে হংকংয়ের পতাকাবাহী এমভি গ্রেট ইন্টালিজেন্ট, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি বাও ইয়াং ও পানামার পতাকাবাহী এমভি ফেডারেল ইবুকি জাহাজ। এই জাহাজগুলোতে ইউরিয়া রয়েছে।
এমভি বাও ইয়াং জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘লিটমন্ড শিপিংয়ে’র ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৬ জুলাই মরক্কো থেকে ২৭ হাজার ৬০০ টন সার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে জাহাজটি। প্রায় অর্ধেক সার খালাস করার পর বুধবার রাতে শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে বন্ধ রয়েছে খালাস। অন্য দুটি জাহাজেও সার খালাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
শিপিং এজেন্টের প্রতিনিধিরা বলছেন, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ৩, ৪ ও ৫ নম্বর সতর্ক সংকেতের সময়ও বন্দরে পণ্য খালাস চলমান থাকে। তবে ভারী বৃষ্টির সময় জাহাজে থাকা খাদ্যপণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও জাহাজের শিপিং এজেন্টরা পণ্য খালাস বন্ধ রাখেন।
আবু হোসাইন সুমন/জেডএইচ/এএসএম