তথ্যপ্রযুক্তি

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ছাড়া পৃথিবী এক নিঃসঙ্গ স্থান

ইন্টারনেটের এই যুগে পৃথিবী আমাদের হাতের মুঠোয়। সেই কাজটি আরও সহজ করেছে নিঃসন্দেহে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, যার সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ ডট’। এই শব্দটি জানেন না এমন মানুষ বোধহয় কমই আছেন। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা এর সঙ্গে অনেক বেশি পরিচিত।

Advertisement

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো একটি বিপ্লবী প্রযুক্তি, যা আজ বিশ্বকে শাসন করে এমন হাজার হাজার আবিষ্কারের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ছাড়া পৃথিবী হবে নিঃসঙ্গ এক জায়গা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তৈরি হওয়ার আগে, দূরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে মানুষকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতো। কিন্তু এখন একটি বোতামে ক্লিক করলে ভয়েস কল, চ্যাট এবং ভিডিও কল পাওয়া যায়। এটি ডাব্লুডব্লিউডব্লিউ বিশ্বে আনা সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি মাত্র।

এছাড়াও এটি তথ্য অনুসন্ধান করা, গানগুলো অ্যাক্সেস করা, অনলাইনে খবর খুঁজে পাওয়া এবং অন্যান্য হাজারো কাজ সহজ করেছে এটি, যা আজ বিশ্বকে শক্তিশালী করেছে। প্রতি বছর ১ আগস্ট বিশ্বব্যাপী ওয়েব দিবস উদযাপন করা হয়।

আরও পড়ুন ফোনের রেডিয়েশনের ক্ষতি এড়াতে যা করবেন 

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবটি ১৯৮৯-১৯৯৩ সালের মধ্যে তৈরি করেন স্যার টিম বার্নার্স-লি। তিনি তখন সিইআরএন (ইউরোপীয় অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ) এ নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৮৯ সালে টিম বার্নার্স-লি বেলজিয়ামে এই ওয়েবটি তৈরি করেন। একইসঙ্গে তিনি হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল (এইচটিটিপি) তৈরি করতে সক্ষম হন।

Advertisement

১৯৯০ সালে তিনি ওয়েবের ধারণা প্রকাশ করেন এবং ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভার তৈরি করেন। অন্যান্য অনেক প্রযুক্তির মতো ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ প্রথমে জনসাধারণের ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। এটি তখন শুধু পদার্থবিদরাই তাদের কাজে ব্যবহার করতেন এবং এটি সেভাবেই তৈরি করা হয়েছিল।

প্রথম গ্র্যাফিকাল ওয়েব ব্রাউজার মোজাইক ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৩ সালের দিকে, যা ছিল শুধু কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য। তবে এখন ওয়েবের ব্যবহার হচ্ছে স্মার্টফোন, গেমিং ডিভাইস, ল্যাপটপে। এমনকি ঘড়ির মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।

স্যার টিম বার্নার্স-লির তৈরি ব্রাউজারটি বেলজিয়ামের তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী রবার্ট কাইলিয়াউ আরও উন্নত করেন। তবে জানেন কি? বিশ্বব্যাপী ১ আগস্ট ওয়েব দিবস পালন করা হয়। দিনটি ইন্টারনেটের প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স-লিকে সম্মান ও স্বীকৃতি জানাতেই পালন করা হয়। এই তারিখটিকে আধুনিক ইন্টারনেটের জন্মদিন বলেও মনে করা হয়।

আরও পড়ুন বিশ্বের এই ৫ দেশে কেন ফেসবুক নিষিদ্ধ?  ভিপিএন ব্যবহার করে বিপদে পড়তে পারেন 

কেএসকে/জিকেএস

Advertisement