ফেনীতে সাতদিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান বুধবার দুপুরে শহরের মিজান রোডের শহীদ জহির রায়হান হল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন।
Advertisement
সামাজিক বন বিভাগ ফেনীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু তাহের।
সামাজিক বন বিভাগ সোনাগাজী উপজেলার বিট কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন করাত কল মালিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন চৌধুরী, বক্সমাহমুদ ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল আহছান ভূঞা ও ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক।
জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগ ফেনীর আয়োজনে এবং জেলা কাঠ ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতি, নার্সারি মালিক সমিতি, করাতকল মালিক সমিতির সহযোগিতায় আয়োজিত বৃক্ষমেলায় ২০টি স্টলে ফলজ, বনজ, ওষুধি এবং শোভাবর্ধক বৃক্ষের রকমারি গাছের চারা বিক্রি করা হয়েছে। মেলার আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষণা করা হলেও নার্সারি মালিকদের অনুরোধে মেলায় অংশগ্রহণকারী নার্সারি মালিকরা আগামী শনিবার বিকেল পর্যন্ত তাদের স্থাপিত স্টলগুলোতে গাছের চারা রাখতে ও বেচাকেনা করতে পারবেন। মেলায় লাইটিংসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এসময় বেচাকেনাও চলবে।
Advertisement
এ বছর মেলায় অংশ নেওয়া সব নার্সারি মালিককে যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জনকারী হিসেবে ঘোষণা করে বৃক্ষ চারায় ওষুধ ছিটানোর জন্য সবাইকে একটি করে স্প্রে যন্ত্র ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, বৃক্ষরোপণ দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখে। এছাড়াও বৃক্ষরোপণের ফলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পরিবেশ বিপর্যয় ও জলবায়ুর পরিবর্তনের একমাত্র কারণই হচ্ছে বৃক্ষনিধন। বাংলাদেশে যে পরিমাণে গাছ কাটা হচ্ছে সে পরিমাণে গাছ লাগানো হচ্ছে না। সবাইকে বৃক্ষরোপণে মনোযোগী হতে হবে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমকেআর
Advertisement