বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।
Advertisement
বুধবার (৩১ জুলাই) ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চলমান পরিস্থিতির আলোকে আলোচনাটি স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও বিকাশের লক্ষ্যে গত বছরের ২৫ অক্টোবর ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে নতুন আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে ৪০ কোটি ইউরো অর্থায়নের লক্ষ্যে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাসের লক্ষ্যসমূহ অর্জন ও দেশের বিদ্যুৎ খাতের পরিবেশসম্মত টেকসই রূপান্তরের জন্য এই অর্থ খরচ করার কথা। এছাড়া আরও পাঁচটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাবদ সাত কোটি ইউরোর চুক্তিও সই করা হয়। এ পাঁচটি ক্ষেত্র হলো- শিক্ষা, শোভন কাজ, পরিবেশসম্মত নির্মাণশিল্প, ই-গভর্ন্যান্স ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা রোধ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে জোসেপ বোরেল বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ২৭ জুলাই লাওসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের আঞ্চলিক ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
Advertisement
আইএইচআর/এমএইচআর/এএসএম